চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বাজারে অভিযান পরিচালনা করেছে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বাজার তদারকির এ অভিযানে সময় বাজারের আল্লাহর দান হোটেলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি ও প্রক্রিয়াজাতকরণ, ফ্রিজে বাসি-পচা দই সংরক্ষণসহ নানা অভিযোগে হোটলটিকে এ অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
এ সময় সব ব্যবসায়ীদের বাড়তি দামে পণ্য বিক্রি না করতে সতর্ক করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) জেলা টাস্কফোর্স কমিটি, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন দর্শনা বাজার এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে হোটেল, ডিম, মুদিদোকান, মুরগি বাজারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠানে তদারকি করা হয়।
এ সময় মেসার্স আল্লাহর দান হোটেলে পূর্বে বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি ও প্রক্রিয়াজাতকরণ, ফ্রিজে বাসি পচা দই সংরক্ষণ, বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ব্যতীত দই তৈরি, দইয়ের মেয়াদ, মূল্য, ওজন ইত্যাদি না লেখা, যথাযথভাবে মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করার প্রমাণ পাওয়া যায়। এ ছাড়া কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি না মানা, দই মিষ্টির মধ্যে পোকা ইত্যাদি অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক খন্দকার জহুরুল ইসলামকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭ ও ৪৩ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এইচ তাসফিকুর রহমান ও ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ দুপুর ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
পরে বাজারে ডিম, মুদিদোকান, মুরগিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠান তদারকি করা হয়। এ সময় সব ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয় এবং সবাইকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য ক্রয় বিক্রয়, ভাউচার সংরক্ষণ ও মুল্যতালিকা প্রদর্শন করতে বলা হয়। সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।
ওয়ারেন্ট অফিসার জুলফিকারের নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গা সেনাবাহিনী ক্যাম্পের একটি টিম আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সার্বিক সহযোগিতা করেন। এ ছাড়া কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) প্রতিনিধি, ছাত্র প্রতিনিধি ও দর্শনা পৌরসভা সহযোগিতা করে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ বলেন, ‘এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
মন্তব্য করুন