হবিগঞ্জের মাধবপুরে জোর করে সাময়িক পদত্যাগ করানোর অভিযোগে ইউএনও ও শিক্ষা কর্মকর্তাসহ ১৫ কর্মকর্তা ও শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সিদ্দিকুর রহমান নামে এক মাদ্রাসার সুপার।
সিদ্দিকুর রহমান এমপিওভুক্ত মাধবপুর দরগাবাড়ি পৌর দাখিল মাদ্রাসার সাময়িক অব্যাহতিপ্রাপ্ত সুপার। গত ৫ নভেম্বর তিনি হবিগঞ্জ আদালতে এই মামলা করেন।
মামলায় মাধবপুরের ইউএনও এ কে এম ফয়সাল, শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো. জান্নাতুল বাকি, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা কবির হোসেন, মৎস্য কর্মকর্তা আবু আসাদ ফরিদুল হক, কৃষি কর্মকর্তা সজীব ও কয়েকজন শিক্ষকসহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়। আদালত ১৫ জনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
মামলার বাদী ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ কর্তৃক জোর করে শিক্ষকদের পদত্যাগের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ইউএনও ও শিক্ষা কর্মকর্তাসহ বিবাদীদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় জোর করে ও প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে মাদ্রাসার সুপার সিদ্দিকুর রহমানকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। এতে তার পেশাগত অধিকার ও সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে মামলার বিবাদী উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো. জান্নাতুল বাকি বলেন, আমরা ইউএনও স্যারের নির্দেশে তদন্ত করেছি। কমিটির সদস্য ছিলাম আমরা। আমাদের বিবাদী করার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক।
এ বিষয়ে মাধবপুরের ইউএনও এ কে এম ফয়সালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কালবেলাকে বলেন, আমি দায়িত্বের মধ্যে থেকেই যথাযথ কাজটি করার চেষ্টা করেছি। এখন ক্ষুব্ধ হয়ে কেউ মামলা করলে কীই-বা করার আছে? আমরা আইনিভাবে এর জবাব দেব।
প্রসঙ্গত, মামলার বাদী সিদ্দিকুর রহমান বিরুদ্ধে ওই মাদ্রাসার বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ, নিয়োগ-বাণিজ্য, পরীক্ষা কেন্দ্রে নকলের সহযোগিতা ও পরীক্ষা কেন্দ্রের অর্থ আত্মসাতের একাধিক অভিযোগ উঠেছে; যা নিয়ে তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠনসহ আদালতে মামলাও চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন