ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারের বিদায় হলেও তার প্রেতাত্মারা এখনো রয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম খান রাজন।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বরিশালের বাকেরগঞ্জে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে র্যালি ও সমাবেশের পূর্বে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রশাসনের উদ্দেশ্যে নজরুল ইসলাম খান বলেন, গত ১৫ বছরে প্রশাসনে সাড়ে ১২ লাখ লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে সাড়ে ১০ লাখ স্বৈরাচারের দোসর আওয়ামী লীগের লোক রয়েছে। প্রশাসনে যারা দায়িত্বে রয়েছেন আপনারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। কেউ যাতে বৈষম্যের শিকার না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে এবং গত ১৫ বছরে বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীদের যারা গুলি করে হত্যা করেছেন তাদের তালিকা আমাদের কাছে রয়েছে। আপনারা সাবধান হয়ে যান। কোনো পক্ষপাতিত্ব আচরণ এবং স্বৈরাচারের দোসরদের পুনর্বাসিত করার চেষ্টা করলে তা মেনে নেব না। আমাদের নেতা তারেক রহমান দীর্ঘদিন লন্ডনে রাজনৈতিক নির্বাসনে রয়েছেন। তিনি অচিরেই বীরের বেশে দেশে ফিরবেন।
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান মোল্লার সভাপতিত্বে ও পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ মো. আব্দুল মালেক সিকদার, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আলহাজ শওকত হোসেন হাওলাদার, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান মোল্লা।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, সাবেক ছাত্রনেতা মিজানুর রহমান আলাল, মো. মোফাজ্জল হোসেন জমাদ্দার, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মনোয়ার হোসেন জিপু, সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক সাইফুল ইসলাম সুজন, সাবেক দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ খান, বরিশাল কোতোয়ালি থানা ছাত্রদলের সভাপতি আবদুল কাদের, পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মোল্লা, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মনির প্রমুখ।
মন্তব্য করুন