কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার চরাঞ্চলের এক এলাকায় সেতু (ইউড্রেন) নির্মাণ করলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় যাতায়াতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ওই এলাকার দুই হাজারের বেশি মানুষ। তবে দ্রুত মাটি ফেলে চলাচলের উপযোগী করার আশ্বাস দিয়েছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা।
উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বৈলমনদিয়ারখাতা গ্রামে সেতু (ইউড্রেন) থাকলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় পণ্যবাহী ঘোড়ার গাড়ি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তরের অধীনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নন ওয়েজ প্রকল্পের মাধ্যমে সেতু (ইউড্রেন) তৈরি করা হয়েছিল। প্রকল্প চেয়ারম্যান ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য শাহানা বেগম।
স্থানীয়রা জানান, ইউড্রেনের কাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়ক মেরামত না করায় চরের পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত ঘোড়ার গাড়িও যাতায়াত করতে পারছে না। সেতুর দুপাশে মাটি সরে গিয়ে ভেঙে যেতেও দেখা যাচ্ছে। এত টাকা দিয়ে সেতু করে লাভ কী হলো, যদি মানুষের কাজে না আসে।
ওই এলাকার সাত্তার, মজিদ, সাইদুল, আকবর ও মরিয়ম জানান, অনেকদিন আগে সেতুর কাজ হয়েছে। কিন্তু মাটি না থাকায় আমরা হাঁটতে পারছি না। ঘোড়ার গাড়িতে এখন মালপত্র আনা-নেওয়া করা যায় না এ রাস্তা দিয়ে।
এ বিষয়ে প্রকল্প চেয়ারম্যান সংরক্ষিত মহিলা সদস্য শাহানা বেগমকে প্রশ্ন করলে পরে জানাবেন বলে ফোন কেটে দেন।
সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য জাকিউল ইসলাম বলেন, আমি প্রকল্পের বিষয় অবগত নই, তবে সংযোগ স্থলে মাটি না থাকায় সেতুটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেন কালবেলাকে জানান, চেয়ারম্যানকে বলে মাটি দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। দুটি ইউড্রেন মিলে ২ লাখের বেশি বরাদ্দ ছিল।
মন্তব্য করুন