বগুড়ায় কলেজছাত্র এম নুরুল্লাহ মন্ডলকে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মঞ্জুরুল আলম মোহনসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এতে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ১০০ জনকে। এই মামলায় বগুড়ার দুই সাংবাদিককেও আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাতে বগুড়া সদর থানায় মামলাটি করেন কাহালু সরকারি কলেজের ইসলাম ইতিহাসের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র কে এম নুরুল্লাহ মন্ডলের বাবা গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নারিচাগাড়ি গ্রামের বাসিন্দা কে এম সাইফুর রহমান মন্ডল।
বুধবার (৬ নভেম্বর) বগুড়া সদর থানার ওসি এসএম মঈনুদ্দীন মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় আসামি হওয়া দুই সাংবাদিক হলেন দৈনিক কালের কণ্ঠের ফটো সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ ঠান্ডা এবং গাজী টিভির বগুড়া প্রতিনিধি আমজাদ হোসেন মিন্টু।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুর ইসলাম জয়, জেলা সভাপতি সজীব সাহা, জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু, আল রাজি জুয়েল, অসীম কুমার রায়, নাইমুর রহমান তিতাস, আওয়ামী লীগ নেতা সাগর কুমার রায়, শাহাদৎ আলাম ঝুনু, সুলতান মাহমুদ খান রনি প্রমুখ।
মামলার বাদী সাইফুর রহমান মন্ডল এজাহারে উল্লেখ করেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের কামারগাড়ি মিছিল নিয়ে পৌঁছুলে আসামিরা ককটেল, পিস্তল, কাটা রাইফেল, শটগানসহ বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পূর্বপরিকল্পনা অনুসারে শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে আমারে ছেলের কপাল লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে আমার ছেলে গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (শজিমেক) নেওয়া হলে দুই দফা আপারেশন করে গুলি বের করা হয়। পরে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। মামলার বাদী সাইফুর রহমান মন্ডল বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ন্যায়বিচারের আশায় সদর থানায় মামলা করেছি।’
বগুড়া সদর থানার ওসি এসএম মঈনুদ্দীন বলেন, আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
মন্তব্য করুন