পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সরকার সেন্টমার্টিন ও পর্যটনশিল্প একসঙ্গে রক্ষা করতে চায়। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে, এটা একদম পরিষ্কার। এরপরও এটা নিয়ে যারা বিভ্রাস্তি ছড়াচ্ছে, তারা এটা ছড়াবে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে লৌহজং নদীর ভাঙন থেকে কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা রক্ষার একটি প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, এ ছাড়া পাহাড় কাটা বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছি। ছাড়পত্রহীন অবৈধ ইটভাটাগুলো ভাঙা হচ্ছে। নতুন করে ইটভাটার কোনো ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে না। অবৈধভাবে ইটভাটা স্থাপন করলে আমরা সেগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
তিনি বলেন, পরিবেশ নিয়ে এখানে অনেক কাজ করার আছে। আমরা পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধের বিষয়টি কার্যকর করার চেষ্টা করছি। দেশের ৬৪ জেলায় অন্তত একটি করে নদী দখল ও দূষণমুক্ত করার কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।
এর আগে টাঙ্গাইলে ‘সবুজ পৃথিবী’ কর্তৃক আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক পরিবেশ সম্মেলন-২০২৪’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, বনায়নে ইউক্যালিপটাস ও একাশিয়া নয়, দেশীয় প্রজাতির গাছ লাগানো জরুরি। উপদেষ্টা বলেন, কৃষকের অধিকার বন বিভাগে নিশ্চিত করতে হবে। বন বিভাগ ও কৃষকের মধ্যে দ্বন্দ্ব দূর করতে হবে। বন, বনবাসী ও বন্যপ্রাণী একসঙ্গে শান্তিতে সহাবস্থান করবে।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন থেকে কৃষি খাতকে রক্ষা করতে হবে। ভোগবাদী অর্থনীতির মডেল অনুসরণ করা যাবে না। দিনদুপুরে বাতি জ্বালিয়ে জ্বালানির অপচয় বন্ধ করতে হবে। রাষ্ট্রের ওপর চাপ কমাতে হবে। পলিথিন ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। দূষণের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিতে হবে। বাংলাদেশে পরিবেশ রক্ষার জন্য আমাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, পরিবর্তিত জলবায়ুর প্রভাব থেকে রক্ষায় জনগণের সচেতনতা ও দায়িত্বশীল আচরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় শুধু সরকারি উদ্যোগই যথেষ্ট নয়। ব্যক্তিগত এবং সামষ্টিক উদ্যোগ প্রয়োজন। তিনি তরুণ প্রজন্মকে এ উদ্যোগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
মন্তব্য করুন