উত্তর চট্টগ্রামজুড়ে চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তারসহ নানা অপরাধের অভিযোগে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও তার ছেলে সামির কাদের চৌধুরীর সম্পৃক্ততা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। যে কারণে নয়াপল্টনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে ‘বাবা-ছেলে’ দুজনকেই।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) পৃথক কারণ দর্শানো নোটিশে দুজনকে আগামী তিন দিনের ভেতরে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
নোটিশে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, প্রবাসীর বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া, কমিটি গঠনে বাধা, সন্ত্রাসী ভাড়া করে সীতাকুণ্ড রাউজানসহ অন্যান্য নির্বাচনী আসনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগ এনে তিন দিনের ভেতরে কেন গিয়াস কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানাতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া একই অভিযোগে রাউজান উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হুদা চেয়ারম্যান ও ফিরোজ আহমেদ মেম্বারকে অভিযুক্ত করে পৃথক নোটিশে তাদেরও কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও সামির কাদের চৌধুরীকে পৃথক নোটিশ জারি করেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
নোটিশে বলা হয়েছে, ‘তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় দুষ্কর্মে সহযোগিতা, দেশি ও প্রবাসী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়, চাঁদা না পেয়ে কাউকে কাউকে হুমকি প্রদর্শনসহ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অনৈতিক নানা অভিযোগ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমদ আযম খানের নেতৃত্বে এক সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে পাওয়া গেছে। সুতরাং তাদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, এর যথাযথ কারণ দেখিয়ে আগামী তিন দিনের মধ্যে একটি লিখিত জবাব দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে গিয়াস কাদের চৌধুরীর মোবাইল ফোন নম্বরে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মন্তব্য করুন