দুদিন পেরোলেও কুষ্টিয়ার গড়াই নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানভীর আহম্মেদের সন্ধান মেলেনি। তার সন্ধানে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত তাদের উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।
গতকাল সোমবার দুপুরে তানভীর ঢাকা থেকে একটি মাইক্রোবাসযোগে ১৩ জন সহপাঠীসহ কুষ্টিয়ায় বেড়াতে যান। বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে বিকেলে গড়াই নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ হন তানভীর। তার বাড়ি বরগুনা জেলায়।
সোমবার রাতেই তানভীর আহম্মেদের নিখোঁজের সংবাদ শুনে তার নিজ জেলা বরগুনা থেকে কুষ্টিয়ায় আসেন তানভীরের বাবা ও তার আত্মীয়স্বজনরা। বাবা আব্দুল মালেক সকালে ছুটে যান গড়াই নদীতে। যেখানে তানভীর নিখোঁজ হন। সাথে ছিলেন তানভীরের বোন ও মামা।
তানভীরের বাবা আব্দুল মালেক জানান, তানভীরের সাথে সোমবার দুপুর ১টার দিকে সর্বশেষ কথা হয়। তখন মেহেরপুর থেকে কুষ্টিয়া আসছিল তারা। কখন ঢাকায় ফিরবে জানতে চাইলে তানভীর রাতে জানাবে বলে জানায়। কিন্তু তার আগেই তানভীরকে হারাতে হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গত বৃহস্পতিবার তানভীর তাকে জানিয়েছিল তারা বন্ধুরা মিলে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় যাবে। মাঝে আমাদের বাড়িতে উঠবে। কিন্তু পরে তানভীর জানায়, কুয়াকাটায় আর যাওয়া হচ্ছে না। তারা মেহেরপুরের মুজিবনগর এবং কুষ্টিয়ায় যাবে। বোন তামিমা জানান, ভাইটা আমাদের অত্যন্ত আদরের। কিন্তু আজ আমার ভাইকে পাওয়া যাচ্ছে না। আদৌ পাওয়া যাবে কিনা জানি না। গোসল করতে গিয়ে ভাই নিখোঁজ হয়েছে সেটি আমার মাকে জানাইনি। শুধু জানিয়েছি, তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এখন আমার মাকে কী জবাব দিব।
সহপাঠী রায়হানুল করিম জানান, চোখের সামনেই গভীর পানিতে তলিয়ে যায় বন্ধু তানভীর। আমরা তাকে বাঁচাতে পারিনি। ৯ বন্ধু মিলে যখন পানিতে নামি তখন রেলব্রিজের ওপর দিয়ে ট্রেন যাচ্ছিল। আমাদের খেয়াল সেদিকে ছিল। পরক্ষণে দেখি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে তানভীর।
কুমারখালী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার বখতিয়ার উদ্দিন জানান, কুষ্টিয়া সদর ও কুমারখালী ফায়ার সার্ভিস কর্মী ছাড়াও খুলনা থেকে ৬ সদস্যের ডুবুরি দল এসেছে উদ্ধার অভিযানে। উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন