চাঁদপুরে হাইমচর সরকারি মহাবিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি আহসান হাবিবকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ কোন্দলে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় সিয়াম নামে একজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাইমচর থানার ওসি মহিউদ্দিন সুমন।
জানা গেছে, সকালে ক্যাম্পাসের সামনে ছাত্রদের দুপক্ষ আধিপত্যের জেরে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে উভয় পক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার মধ্যে আহসান হাবিবের শরীরে ধারাল অস্ত্রের কোপ লাগে। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত ঢাকায় রেফার করে চিকিৎসক।
আহত আহসান হাবিবের মামা দুলাল জানান, তার ভাগনে আহসান হাবীব হাইমচর কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে আন্দোলন করে। আন্দোলনে হাবিব গুরুতরভাবে আহত হয়। পরবর্তীতে নিজে বাদী হয়ে হাইমচর থানায় মামলা দায়ের করে। ঐ মামলা করার পর থেকে ইউপি চেয়ারম্যান সরদার আব্দুল জলিল মাস্টার তাকে নিরাপরাধ মানুষকে মামলায় জড়ানোর জন্য বলেন। সে রাজি না হওয়ায় পরে মামলা তুলে নেওয়ার জন্যও হুমকি দেন। তার কথা না শোনায় তিনি তার ভাগনে মিরাজকে দিয়ে কয়েকবার হামলা করান। শেষ পর্যন্ত হাবিবকে হত্যা করার জন্য পরিকল্পিতভাবে আজ হামলা চালানো হয়েছে।
এদিকে আহসান হাবিবের ওপর এই হামলার ঘটনায় তাৎক্ষণিক উপজেলা পরিষদের সামনে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে মিছিল ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং দোষিদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে হাইমচর সরকারি মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. কামরুল ইসলাম জানান, যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে সেই আহসান হাবিব ও মিরাজ উভয়েই এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্র। আমরা সিরাজুল ইসলাম মিরাজকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছি। ঘটনাটি তদন্তের জন্য ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের হাইমচর থানার ওসি মহিউদ্দিন সুমন বলেন, শিক্ষার্থী আহসান হাবিবের ওপর হামলার ঘটনায় সিয়াম নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। হাবিবের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত রয়েছে তাদেরকে আটক করার চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন