কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে র্যাব পরিচয়ে ২৬ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাতদলের নেতাসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১ কুমিল্লা অঞ্চলের উপপরিচালক মাহমুদুল হাসান। এ সময় ডাকাতদলের কাছ থেকে র্যাবের পোশাক-স্টিকার ও ডাকাতিকাজে ব্যবহৃত ওয়াকিটকিসহ বিপুল সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানার বজ্রাকুঞ্চিবাড়ি এলাকার কাছু শেখের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩২), একই থানার উত্তর শ্রীপুর গ্রামের নাসির আলীর ছেলে সাজু মিয়া (৩৩), কালিরখামার গ্রামের ফয়সাল বেপাবির ছেলে মো. সাজু (৪৪), মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থানার ইমামপুর গ্রামের রবিউল আওয়ালের ছেলে মো. রিয়াদ (১৯), একই গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে মো. সজিব (৩৫), ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার থানারকান্দি গ্রামের তপদর হোসেনের ছেলে মো. রবিউল (২৬), মাদারিপুর জেলার শিবচর গ্রামের টিংরামারী গ্রামের আলী আকবরের ছেলে মো. মানিক (৪০), নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার দক্ষিণ কুলচরিত্র গ্রামের আবুল কালামের ছেলে রিপন সর্দার (২৯) ও পটুয়াখালীর গলাচিপার চরবিশ্বাস গ্রামের আবদুল হক হাওলাদারের ছেলে রিপন হাওলাদার (৪৫)।
র্যাবের উপপরিচালক মাহমুদুল হাসান বলেন, গত ২৭ অক্টোবর বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রামস চৌদ্দগ্রাম এলাকায় র্যাব পরিচয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের কর্মচারীর গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাত দল তাদের থেকে ২৫ লাখ ৯২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজার বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জনকে আসামি করে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।
তিনি বলেন, ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি ও ছায়াতদন্ত শুরু করে র্যাব। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, ডাকাত দলের সদস্যরা জেলার চান্দিনা থানা এলাকায় পুণরায় ডাকাতির পরিকল্পনা করছে। পরে সোমবার রাতে চান্দিনা থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওপর জনৈক দুজন ব্যক্তি ডাকাতির শিকার হয়েছে এবং ডাকাত দল ঢাকা অভিমুখে যাত্রা করেছে মর্মে স্থানীয় সোর্স তথ্য প্রদান করে। এরই সূত্র ধরে ডাকাত চক্রকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র্যাব-১১ এর একটি অভিযানিক দল তৎক্ষণাৎ দাউদকান্দি থানাধীন দাউদকান্দি টোল প্লাজা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে।
এ সময় ডাকাতদল থেকে নগদ ৩৫ হাজার ৩৫৮ টাকা, ৩টি র্যাব জ্যাকেট, ১টি নকল পিস্তল, ১টি পিস্তল কভার, ১টি স্বর্ণের চেইন, ২টি আংটি, ১টি ইলেকট্রিক শকার, ২টি ওয়াকিটকি, ৭টি মোবাইল, ২টি র্যাব মনোগ্রামযুক্ত স্টিকার, ১টি লাঠি, ৩টি টর্চলাইট, ১টি ওয়ারলেস টকিং টুল, ১টি হ্যান্ডকাফ, ৮টি মানিব্যাগ, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি নোহা প্রাইভেটকার ও ১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা ডাকাতির সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছে।
মন্তব্য করুন