ইয়ামিন কবির স্বপন, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৩, ১২:২৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ড্রাগন চাষে কৃষি উদ্যোক্তা কামরুলের ভাগ্যবদল

ড্রাগন বাগান (বায়ে) ও ড্রাগন ফলের সঙ্গে কৃষি উদ্যোক্তা কামরুল ইসলাম কাজল। ছবি : কালবেলা
ড্রাগন বাগান (বায়ে) ও ড্রাগন ফলের সঙ্গে কৃষি উদ্যোক্তা কামরুল ইসলাম কাজল। ছবি : কালবেলা

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে বিদেশি জাতের রসালো ও পুষ্টিকর লাল ড্রাগন ফলে ভরে উঠেছে মাঠ। রঙ, গন্ধ ও স্বাদ অতুলনীয় হওয়ায় দেশের বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। চাঁদখানা ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদখান গ্রামে আবরার অ্যাগ্রো ফার্মে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ করে মাত্র ২ বছরে মিলেছে সাফল্য।

চাদখানার বাসিন্দা কৃষি উদ্যোক্তা কামরুল ইসলাম কাজল এমন লাল ড্রাগন উৎপাদন করে সম্ভবনার দুয়ার খুলেছেন। বাগানে প্রতিটি গাছে ২-৩টি করে ঝুলছে লাল ড্রাগন ফল। তিনি এ মৌসুমে সফল ফলনে চমক লাগিয়েছেন। এ অঞ্চলের মাটি উর্বর হাওয়ায় ড্রাগন চাষের জন্য খুবই উপযোগী। তা ছাড়া রোগবালাই কম ও কম পুঁজিতে বেশি লাভ হওয়ায় অন্যরাও ড্রাগন চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

আরও পড়ুন : পরিত্যক্ত ইটভাটায় বিদেশি ফল চাষ

সরেজমিনে গেলে ফার্মের প্রোডাকশন ম্যানেজার সালাউদ্দিন বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শে ২০২১ সালে আবরার অ্যাগ্রো ফার্ম প্রজেক্টে ৭০ শতাংশ জমিতে ৫ শতাধিক পিলারে ২০ হাজার চারা রোপণ করা হয়। যশোর থেকে চারাগুলো সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট দূরত্বে প্রতিটি পিলারে ৪টি করে চারা রোপণ করা হয়। ড্রাগন গাছের লতাগুলো বড় হলে খুঁটি বেয়ে টায়ারের ভেতর থেকে বাইরে ঝুলে পড়ে। এরপর ফল আসা শুরু হয়। রাজধানী ঢাকাসহ স্থানীয় বাজারে প্রথম কিস্তিতে ফল বিক্রি করে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং চারা বিক্রিতে ৩০ হাজার টাকা আয় হয়। এ বাগান থেকে চারা সংগ্রহ করে একের পর এক ছাদ বাগানের টবসহ কৃষি জমিতে ড্রাগনের বাগান গড়ে উঠছে।

তিনি আরও জানান, এ মৌসুমে প্রতিটি গাছে নজর কাড়া ফল এসেছে। প্রতি কেজি ড্রাগনের বর্তমান বাজারমূল্যে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। যা ভালো ফলন পেলে ১০ লাখ টাকা আয় সম্ভব। বাগান তৈরিতে খরচ হয় প্রায় ৭ লাখ টাকা। শুধু পরিচর্যায় ২০ বছর মিলবে সফলতা। আমি আশাবাদী বছরে প্রতিটি গাছ ফলন দেয় ২৫-৩০ কেজি, যা বাগান থেকে প্রতি বছর ১০ লাখ টাকা ফল বিক্রি করা যাবে।

উপজেলা কৃষিবিদ মো. লোকমান আলম বলেন, কৃষি উদ্যোক্তা কাজল বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লাল ড্রাগনের বাগান করে সফল হয়েছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় ২ হেক্টর জমিতে ৩০ জনের মতো কৃষক ওই বাগান গড়ে তুলেছেন। শখের বসে হলেও বাগানগুলো বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠেছে। এতে স্থানীয়দের পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে। অর্থনৈতিকভাবে কৃষকরাও স্বাবলম্বী হতে পারবেন। উচ্চমূল্যের এ ফলের বাগান করতে মাঠপর্যায়ে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। সঙ্গে নিরাপদ ফল উৎপাদনে সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

স্ত্রীসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালকের

ধর্ম বোন বানিয়ে তারই ছেলেকে অপহরণ

এবার কলকাতায় দেখা গেল মোহাম্মদপুরের আলোচিত কাউন্সিলর আসিফকে

‘ছাত্র-জনতার ওপর গুলি ব্যবহার করেনি র‍্যাব’

ব্রাজিল কোচের মাথায় হাত!

সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ঢাকায় যানজটে দৈনিক নষ্ট হচ্ছে ৮২ লাখ কর্মঘণ্টা

যে কারণে সিনেমা হলে টিকিট বিক্রি করলেন সৃজিত-দেব 

তিন দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

নিউজিল্যান্ডে নৌবাহিনীর জাহাজডুবি, ৭৫ নাবিককে উদ্ধার

১০

জুয়ার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব, যুবককে কুপিয়ে হত্যা

১১

তারেক রহমানের সব মামলা আইনিভাবে মোকাবিলা করা হবে : কায়সার কামাল

১২

পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা: সিপিডি

১৩

সন্ধ্যার মধ্যে ঝড় হতে পারে যেসব অঞ্চলে

১৪

স্প্যানিশ তারকার কান্নায় মাটি জয়ের আনন্দ

১৫

ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়েও আসামি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সিয়াম

১৬

মধ্যপ্রাচ্যে কত সেনা মোতায়েন রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র?

১৭

ইমন হত্যা / আ.লীগের আরও ২ নেতা গ্রেপ্তার

১৮

ঢাকা মেডিকেলে অনেক লাশের মধ্যে পড়ে ছিল শহীদ রনির লাশ 

১৯

এমন বৃষ্টি আর কতদিন?

২০
X