কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় গভীর রাতে জানালার গ্রিল কেটে বাড়িতে ঢুকে সবার হাত বেঁধে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যদের চিনে ফেলায় বাড়ির মালিকের ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যা করে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে ডাকাতরা।
সোমবার ( ৪ নভেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের নগরাজপুর গ্রামের সুপারী ব্যবসায়ী শফি উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম আলেফ উদ্দিন (৩৬)। তিনি ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের নগরাজপুর গ্রামের সুপারি ব্যবসায়ী শফি উদ্দিনের ছেলে।
বাড়ির মালিক শফি উদ্দিন বলেন, রাত ২টার দিকে ১০-১২ জন ডাকাত রান্না ঘরের জানালার গ্রিল কেটে বাড়িতে প্রবেশ করে। বাড়িতে ঢুকেই আমাকে, স্ত্রী হাসিনা বেগম, ছেলে আলেফ উদ্দিন, আনিছুর রহমান এবং ছেলের বউ সোমাইয়া বেগমকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে মারধর করে। এক পর্যায়ে তারা ড্রয়ারে থাকা রাখা ১০-১২ হাজার টাকা, ৭-৮ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে নেয়। আমার ছেলে ডাকাত দলের সদস্যদের চিনে ফেলায় তাকে মেরে ফেলে। পরে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতরা।
শফি উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা বেগম বলেন, ডাকাতরা টাকা ও স্বর্ণালংকার নেওয়ার পরও আমার চোখের সামনে আমার ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ আমার ছেলের হত্যাকারীদের যেন দ্রুত গ্রেপ্তার করা হয়।
ফুলবাড়ী থানার ওসি সানোয়ার হোসেন বলেন, নিহত আলেফ উদ্দিনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় মামলা করা হবে।
কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান কালবেলাকে বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ডাকাত দল রান্নাঘরের জানালার গ্রিল কেটে বাড়িতে প্রবেশ করেছে। বাড়ির মালিকের ছেলে আলেফ উদ্দিন হয়তো ডাকাতদের চিনতে পেরেছে। সে কারণে ডাকাতরা তাকে মেরে ফেলতে পারে। অনুসন্ধান করে এই সংঘবদ্ধ ডাকাত দলকে গ্রেপ্তারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন