রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ইনডোর ও আউটডোরে চিকিৎসাসেবা বন্ধ রেখে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসক, নার্সসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বহির্বিভাগসহ সব ওয়ার্ডে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দেওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন হাসপাতালে শত শত রোগী।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন আন্দোলনকারীরা। ১১টার পর চিকিৎসাসেবা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তারা।
সকালে হাসপাতালের আউটডোরে গিয়ে দেখা গেছে, টিকেট কাউন্টারের সামনে শত শত রোগীর ভিড়। চেম্বারে কোনো চিকিৎসক না আসায় দীর্ঘক্ষণ থেকে অপেক্ষা করছেন তারা। এ সময় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান রোগীরা। নগরীর হাজীরহাট উত্তর পাড়া থেকে ১৪ দিন বয়সী নবজাতককে নিয়ে এসেছেন এক নারী। তিনি বলেন, বহির্বিভাগে দীর্ঘক্ষণ বসে অপেক্ষা করছি। এখনো কোনো চিকিৎসককে দেখাতে পারিনি। কখন দেখাতে পারব তাও জানি না।
মিঠাপুকুর থেকে আসা বুলবুলি বেগম বলেন, ডাক্তার দেখাতে সকালে এসেছি। কিন্তু টিকিট কাউন্টারে এক ঘণ্টা থেকে দাঁড়িয়ে থেকেও টিকিট পাইনি। অসুস্থ শরীর নিয়ে কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারব জানি না।
আউটডোরে টিকিট কাউন্টারে কর্মরত ওয়ার্ডবয় রাসেল বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে টিকিট দিতে নিষেধ করা হয়েছে। ডাক্তাররা এখনও আসেনি। ১০টার পর আমরা টিকিট দেওয়া শুরু করব।
আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শরিফুল ইসলাম মন্ডল বলেন, আজকে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি চলছে। ফ্যাসিবাদের দোসর ডা. মাহফুজকে অধ্যক্ষের পথ থেকে না সরানো হলে আগামীকাল থেকে শাউটডাউনে যাব আমরা।
ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের বিভাগীয় সভাপতি ডা. মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ছাত্র-জনতার রক্তের মধ্য দিয়ে অভ্যুত্থানের পরও একজন ফ্যাসিবাদীকে এই হাসপাতালের অধ্যক্ষ করা হয়েছে। তাকে দ্রুত অপসারণ করা না হলে আমরা আরো কঠোর কর্মসূচিতে যাচ্ছি।
গত ২৯ অক্টোবর ডা. মাহফুজার রহমানকে অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়। এর পরদিন থেকে তার পদত্যাগের দাবিতে ক্যাম্পাসজুড়ে আন্দোলন শুরু হয়। আজকে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি শেষে তাদের দাবি মানা না হলে আগামীকাল থেকে কমপ্লিট শাটডাউনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
মন্তব্য করুন