পটুয়াখালীর বাউফলে আয়েশা আক্তার মুক্তা নামে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৪ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার সূর্যমনি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়।
জানা গেছে, মুক্তার বাবা বিআরটিসির বাসচালক। তার বড় বোন অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। মা বড় বোনের সঙ্গে হাসপাতালে ছিলেন। বিকেলের দিকে মুক্তা ওড়না দিয়ে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দেন। সন্ধ্যায় স্থানীয় চৌকিদার বিষয়টি পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহতের বড় বোন জানান, আমাদের পরিবারের কোনো শত্রু নেই। সকালে ছোট বোনের কাছে একটি মোবাইল দেখতে পায় মা। পরে মোবাইলটি তার থেকে নিয়ে যায় মা। এতে বোন রাগ করে। তবে এ কারণে বোন আত্মহত্যা করতে পারে না। বিকেল ৪টার দিকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরে মা বাড়িতে ফিরে উঠানে ভিড় দেখতে পায়। তখন জানতে পারে ঘরের ভেতরে আমার ছোট বোন গলায় ফাঁস দিয়েছেন।
বাউফল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যা ধারণা করা হচ্ছে। তবে আমরা মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে পারিনি। মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
মন্তব্য করুন