‘পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণ আওয়ামী লীগ নেতার’ শিরোনামে দৈনিক কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের একদিন পর অভিযান চালিয়েছে বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তর।
সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এ অভিযান পরিচালনা করেন। ঘটনা সত্যতা পাওয়ায় চারজনের বিরুদ্ধে পাহাড় কাটার অপরাধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. রেজাউল করিম।
অভিযুক্তরা হলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শফিউল্লাহ এবং তার ভাই মোহাম্মদ উল্লাহ, আতাউল্লাহ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ইকবাল।
উল্লেখ্য, উপজেলা সদরে বাবার নামে তৌজিভুক্ত পাহাড় কেটে বহুতল ভবন নির্মাণ ও পাহাড় কাটা মাটি দিয়ে সরকারি পুকুর ভরাট করেছেন তিনি। গত জুলাইয়ে এক তদন্তে পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণ ও মাটি দিয়ে পুকুর ভরাটের সত্যতা পেয়ে তাকে চিঠি দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর। কিন্তু চিঠির নির্দেশনা উপেক্ষা করে ধার্য তারিখে তিনি চট্টগ্রাম পরিবেশ আদালতে হাজির হননি বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত বছর বর্ষা মৌসুমের আগে থেকে তার বাবার নামে তৌজিভুক্ত পাহাড় কাটতে শুরু করেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কেউ পাহাড়ের দিকে তাকালে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার ভয় দেখাত তাই তার বিরুদ্ধে এতদিন কেউ মুখ খোলেনি।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার পশ্চিমে ১৫০ গজের মধ্যে পাহাড়টির অবস্থান পাহাড়টি শফিউল্লাহর বাবা ছালে আহাম্মদের নামে রেকর্ডভুক্ত। পাহাড় কেটে করা নির্মিত দুটি ভবনের দ্বিতল পর্যন্ত ছাদ ঢালাই করা হয়েছে। পাহাড়টির পাদদেশে ও নাইক্ষ্যংছড়ির প্রধান সড়ক ঘেঁষে আশির দশকে খনন করা ৪০ শতাংশ পরিমাণ একটি সরকারি পুকুর রয়েছে। আগে গোসল করার সময় পুকুরের গভীরতা মানুষের উচ্চতার বেশি ছিল। গত বছর থেকে রাতের অন্ধকারে পাহাড় কাটা মাটি ফেলায় পুকুরটির তলদেশ ভরে গেছে। বর্তমানে ওপর থেকে ভরাটের এক-তৃতীয়াংশ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বছর থেকে রাতের বেলায় এক্সকাভেটর দিয়ে অল্প অল্প করে পাহাড় কাটছেন তিনি। তবে দিনের বেলায় পাহাড় কাটার অংশ কালো পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। পাহাড় কাটার মাটি ফেলা হচ্ছে সরকারি পুকুরটিতে।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি ইউএনও মো. মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে।
মন্তব্য করুন