সিলেট গ্যাস ফিল্ডের পরিত্যক্ত তেলকূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে দৈনিক ৬ থেকে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় হরিপুরের ৭ নম্বর তেলকূপ থেকে কম্প্রেসার ইক্যুইপমেন্টের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে সংযোগের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ চালু করা হয়।
জানা যায়, পরিত্যক্ত তেলকূপটি সংস্কার বা ওয়ার্কওভার চলাকালে দুটি গ্যাস স্তরের সন্ধান পাওয়া যায়। গত ১৪ অক্টোবর কূপের ২০১০ মিটার গভীরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সাত মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান মেলে। এরপর ২২ অক্টোবর ওই কূপের ১২০০ মিটার গভীরে আরও সাড়ে আট মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। সোমবার সকাল থেকে শুরু হয় কর্মযজ্ঞ। ৭ নম্বর কূপের সবুজ বর্ণের টি আকৃতির পাইপের সাথে গ্যাসের চাপ পরীক্ষা শেষে জাতীয় গ্রিডের লাল পাইপের সংযোগ করা হয়।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডের ৭ নম্বর কূপ থেকে আগামী ১৫-২০ বছর গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। এ কূপে ৯৪ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত রয়েছে। প্রতিদিন চার লাখ টাকার কনডেনসেট এবং ৫০ কোটি টাকার গ্যাস উত্তোলন করা হবে এই কূপ থেকে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, চলতি বছরের জুলাইয়ে বাপেক্স এই কূপের পুনঃখনন কাজ শুরু করে। গত ২২ অক্টোবর গ্যাস পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। আজ থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালে তেলের সন্ধান মেলায় ৭ নম্বর কূপটি তেল উৎপাদনে চালু হয়। ১৯৯৪ সালে তেলের মজুদ শেষ হওয়ায় এটি বন্ধ করা হয়। দীর্ঘদিন পর ওয়ার্কওভারের মাধ্যমে এ কূপ থেকে গ্যাসের উৎস নিশ্চিত হওয়ায় জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হলো।
মন্তব্য করুন