বগুড়ার আদমদীঘি ও কাহালু উপজেলার নাশকতা ও হত্যা মামলায় চার ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৯ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ও পুলিশ।
রোববার (৩ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকার একটি বাড়ি থেকে আদমদিঘির তিন ইউপি চেয়ারম্যানসহ সাতজনকে র্যাব এবং সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে কাহালু থেকে এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ দুজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
ঢাকায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন আদমদিঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হক আবু (৫৬), উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান (৫২), উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামিমুল হুদা খন্দকার (৫৫), উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এরশাদুল হক টুলু (৬২), নাজিমুল হুদা খন্দকার (৫৭), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমিনুল ইসলাম সুমন (৩৮) ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক একরাম হোসেন (৪৮)।
আদমদিঘি থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কালবেলাকে বলেন, আদমদিঘিতে গত ১৯ ও ২৫ আগস্ট বিএনপি এবং যুবদলের অফিসে ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় থানায় দুটি মামলা করা হয়। এ মামলায় অজ্ঞাতসহ আওয়ামী লীগের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এরপর বগুড়ায় ছাত্র হত্যার মামলায় আদমদিঘিতে আওয়ামী লীগের বেশ কিছু নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলার পর আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে ছিলেন। মামলার সূত্রে গত রোববার রাতে মিরপুরের এলাকায় একটি বাড়িতে র্যাবের অভিযান চালিয়ে তাদের সাত জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে কাহালু থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ জানান, সোমবার দুপুরে নাশকতার মামলায় উপজেলা সদর থেকে নারহট্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রহিম এবং উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ আবদুল সম্পাদক কুদ্দুসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মন্তব্য করুন