কক্সবাজারের টেকনাফে অপহৃত ৯ কৃষককে মুক্তিপণের পর ছেড়ে দিয়েছে অপহরণকারীরা। সোমবার (৪ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে মুক্তি পেয়ে তারা বাড়ি ফিরেন।
মুক্তিপ্রাপ্ত কৃষকরা হলেন, হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কানজর করাচি পাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে আনোয়ার, বাঁচা মিয়ার ছেলে গিয়াস উদ্দিন, জালাল আহমদের ছেলে বেলাল উদ্দিন, আবুল হোছনের ছেলে আবু বকর, নুরুল আলমের ছেলে মুহাম্মদ আলম, আজিজুর রহমানের ছেলে কফিল ও নুরুল হোছন। অন্য দুজনের নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ আনোয়ারী কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত শনিবার (২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কানজর করাচিপাড়া পাহাড়ি এলাকা থেকে কৃষকদের অপহরণ করা হয়। এরপর জনপ্রতি দেড় লাখ টাকা করে সাড়ে ১৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহৃতদের পরিবারে ফোন করা হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে গোপনে মুক্তিপণের টাকা পরিশোধ করার পর এদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কত টাকা, কীভাবে, কাকে দিয়েছে এটি বলতে রাজি হচ্ছে না অপহৃতদের স্বজনরা।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. গিয়াস উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, অপহরণের পরপরই ঘটনা জানার পর পুলিশ উদ্ধার অভিযান শুরু করে। দুদিনে পুলিশ পাহাড়ে সক্রিয় অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এতে চাপে পড়ে অপহৃদের ছেড়ে দিয়েছে অপহরণকারী চক্রের সদস্যর। আমরা মুক্তিপণ পরিশোধের বিষয়ে অবগত নই। তবে মুক্তিপ্রাপ্ত কৃষকদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে অপহরণকারী চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করতে কাজ করছি।
গত এক বছরে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৪৫ জনের অপহরণের শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে ৮৮ জন স্থানীয় বাসিন্দা, ৫৬ জন রোহিঙ্গা নাগরিক। অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৭৮ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন।
মন্তব্য করুন