বরগুনায় রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান নশাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি বরগুনা সদর উপজেলার কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
রোববার (৩ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে শহরের টাউন হল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন বরগুনা সদর থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান।
গত ১০ আগস্ট বরগুনায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবিরের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়। এর পর ১২ আগস্ট সন্ধ্যার দিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাহাঙ্গীর কবিরের মোবাইলে কথা বলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাত করার একটি পাঁয়তারা পরিলক্ষিত হয়। পরে দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে বিষয়টি রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হওয়ায় বরগুনা থানার উপপরিদর্শক মো. শামীম দণ্ডবিধির ১২৪ ধারায় সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় মনিরুজ্জামান নশাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত করতে গত ১০ আগস্ট জেলা আওয়ামী লীগ বরগুনা পৌর শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। প্রতি বিপ্লবের মাধ্যমে সরকারকে উৎখাত করার হুমকি দেন। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গত ১২ আগস্ট জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। ওই কথোপকথনের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এমন ঘটনায় দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। এরই প্রেক্ষিতে গত ৭ অক্টোবর বরগুনা সদর থানায় রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় মনিরুজ্জামান নশার সম্পৃক্ততা থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সদর থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, পুলিশের দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় আ.লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান নসাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যথাসময়ে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
মন্তব্য করুন