বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের পেটানো এক ছাত্রলীগ নেতা শনাক্ত হয়েছে। তিনি পটুয়াখালীর বাউফলের জিহাদ আহম্মেদ।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিক্ষোভের সময় দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। ঢাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে হামলায় বহিরাগতও যোগ দেয়। তাদের নৃশংস হামলায় ঢাবির প্রায় তিন শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী আহত হয়। ওইদিন হাসপাতালে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পেটায় বহিরাগত ছাত্রলীগ।
কালবেলার হাতে আসা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সেদিন ঢাবি ছাত্র-ছাত্রীদের বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে পটুয়াখালীর বাউফল পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী (আগের কমিটি ভাঙার পরে জুন মাসে সিভি জমা দিয়েছিল) জিহাদ আহম্মেদ। হামলার সময় তার হিংস্রতার দৃশ্য ভিডিওতে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।
জিহাদ আহম্মেদ বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। ঢাকায় গ্রীন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। ১৬ জুলাই ঢাবিতে তার কর্মকাণ্ডের কারণে নিজ ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। আজ পর্যন্ত তিনি নিজ ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি। বাউফলে ছাত্রলীগের একাংশের সকল সভা সমাবেশে প্রথম কাতারে দেখা যেত তাকে। বাউফল সরকারি কলেজে পড়াকালীন মারপিটসহ উশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন তিনি।
বাউফল উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক মুনতাসীর তাসরিপ বলেন, ঢাবিতে হামলার মধ্য দিয়েই দেশ উত্তপ্ত হয়৷ ওই হামলা চালায় ছাত্রলীগ। বাউফলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের যে বহিরাগতরা হামলায় জড়িত ছিল, তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতেই হবে। তারা এখনো নানা ভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।
ছাত্রলীগ নেতা জিহাদ আহম্মেদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার কোনো সমস্যা নেই। ঢাকাতেই আছি, নিরাপদে আছি। সেদিন আমরা কয়েকজন ছিলাম। নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য করেছি, নাহলে ওরা আমাদেরকেই মেরে ফেলত। ইউনিভার্সিটি থেকে ভর্তি বাতিল করেছি, ওখানে যাওয়া নিজের জীবনের রিস্ক তাই যাইনি।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, যে ঘটনায় আমরা তাকে অভিযুক্ত করব, সেই ঘটনা আমার থানা অঞ্চলে হতে হবে। অন্য থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে সেই থানা চাইলে আমরা সহযোগিতা করতে পারি।
মন্তব্য করুন