সিলেটে গ্রেপ্তার হওয়া যুবলীগ নেতা বাবর মিয়াকে সরকারি কর্মস্থল থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বাবর মিয়া (৪৫) কোম্পানীগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে মোহরার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। জেলা রেজিস্ট্রার মো. জহরুল ইসলামের সই করা আদেশে গত ৩০ অক্টোবর তাকে বরখাস্ত করা হয়।
জানা যায়, গত ২৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় সিলেট নগরের বন্দরবাজার এলাকা থেকে বাবর মিয়াকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। তিনি দক্ষিণ সুরমার ধরাধরপুর গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে।
বাবর দক্ষিণ সুরমা উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি ও তেতলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সদস্য হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছিলেন।
বাবর মিয়ার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সিলেট নগরের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবরের আন্দোলন চলাকালে বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলার দায়ে হওয়া আরেক মামলারও আসামি বাবর মিয়া।
সূত্রমতে, বাবর মিয়া সিলেটের আলোচিত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা পীযূষ কান্তি দে ওরফে গুল্লি পীযূষের অন্যতম সহযোগী হিসেবেও পরিচিত।
গ্রেপ্তারের পর গত বুধবার জেলা রেজিস্ট্রার মো. জহরুল ইসলাম এক চিঠির মাধ্যমে বাবর মিয়াকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সরকারি চাকরি আইন ২০১৮-এর ধারা ৩৯-এর উপধারা ২ অনুযায়ী গ্রেপ্তারের তারিখ থেকে বাবর মিয়াকে বরখাস্ত করা হলো। তবে বরখাস্তের সময় বিধি অনুযায়ী খোরাকি ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধাদি পাবেন তিনি।
মন্তব্য করুন