পাবনার চাটমোহরের ছাইকোলা ইউনিয়নের কাটেঙ্গা গ্রামের একটি রাস্তায় বাঁশের বেড়া দেওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন ওই গ্রামের ২২টি পরিবারের শতাধিক মানুষ।
অভিযোগ উঠেছে, কাটেঙ্গা গ্রামের ওয়াজেদ আলী প্রাংসহ তার লোকজন রাস্তায় এ প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছেন। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে এবং স্থানীয়ভাবে সমাধান না হওয়ায় আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীরা। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে চাটমোহর উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বাদী অ্যাডভোকেট আব্দুর রউফ প্রাং এর বাড়ি থেকে মৃত ইউসুফ প্রাং এর বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ২০০ ফুট লম্বা ও ১২ ফুট প্রশস্ত রাস্তাটিতে দুইশত বছর ধরে স্থানীয়রা যাতায়াত করেন। রাস্তাটি গুমানী নদী সংলগ্ন কাটেঙ্গা দক্ষিণপাড়া থেকে কাটেঙ্গা বাজারগামী। বাদীসহ ২২ পরিবারের শতাধিক মানুষ প্রতিদিন বিভিন্ন প্রয়োজনে এ রাস্তায় যাতায়াত করেন। জনস্বার্থে স্থানীয় সরকারের পক্ষে ইউনিয়ন পরিষদে অনেকবার এ রাস্তায় মাটি ভরাট, সংস্কার ও মেরামত করেছে।
গত ২৬ জুলাই একই এলাকার ওয়াজেদ আলী প্রাং, আহেদ আলী প্রাং, সবুরা খাতুন, আফরোজা খাতুন, ফরিদা খাতুন ও শামসুন্নাহার জোটবদ্ধ হয়ে তাদের অন্য লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তাটি দখল করে বাঁশের খুঁটি ও বেড়া দিয়ে আটকে দেন। এ ঘটনার পর নিষ্পত্তির জন্য স্থানীয়রা একাধিকবার সালিশ বৈঠক করলেও নিষ্পত্তি হয়নি।
মামলার বাদী আব্দুর রউফ জানান, দীর্ঘদিন ধরেই ওয়াজেদ প্রাং অবৈধভাবে রাস্তাটি দখলের অপচেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। বাঁশ, খুঁটি দিয়ে দখল করে যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় বা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো বিচার পায়নি। বাধ্য হয়ে আদালতের দারস্থ হয়েছি।
অহেদ আলী প্রাং জানান, আমার বাপ ছিল একা। এখন আমাদের লোকজন বেড়ে গেছে। আমাদের বাড়ির জায়গা হচ্ছে না। বাপ থাকতে রাস্তার মধ্যে জমি ফেলে রেখেছিলেন। মানুষের চলাচলের জন্য আমরাও রাস্তা দিয়ে রেখেছিলাম। রাস্তার জন্য যতটুকু দরকার ততটুকু রেখে বাকিটুকু ঘিরে দিয়েছি। এখানে সরকারি জমি বা রাস্তা নেই।
এ বিষয়ে চাটমোহর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান শাকিলের কাছে জানতে চাইলে প্রথমে তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ আমার জানা নেই। আদালতে মামলা হয়েছে কি না জানি না। আমার কাছে কোনো নির্দেশনা আসেনি।
অথচ আজ সোমবার ঘটনাস্থল সরেজমিনে তদন্তে যাবেন উল্লেখ করে উভয়পক্ষকে স্বাক্ষ্য প্রমাণ নিয়ে উপস্থিত থাকতে নোটিশ জারি করেছেন তিনি। নোটিশের বিষয়টি অবহিত করলে তিনি জানান, যদি আপনার কাছে আমার স্বাক্ষরিত কোনো নোটিশ থেকে থাকে তাহলে ঠিক আছে। আমি সরেজমিন তদন্তে যাব।
মন্তব্য করুন