টেকনাফ থেকে অপহৃত ২ রোহিঙ্গাসহ ৯ জনের কাছ থেকে জনপ্রতি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে অপহরণকারীরা। অপহৃতদের স্বজনদের ফোন করে এই মুক্তিপণ চাওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।
হোয়াইক্যংয়ের কানজর পাড়ার করাচি পাড়া বাসিন্দা সিরাজুল ইসলামের মেয়ের জামাই ও ভাইপো বন্দি আছেন অপহরণকারীদের হাতে।
তিনি জানান, শনিবার রাত থেকে কয়েকবার অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে দেড় লাখ টাকা করে মুক্তিপণ চাওয়া হয়। এ ছাড়া অপহৃত বাকি ছয়জনের পরিবার থেকেও সমপরিমাণ মুক্তিপণ চাওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
ভুক্তভোগী পরিবারগুলো জানায়, টেকনাফ থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে ঘটনাস্থল কানজর পাড়া যায়। খোঁজখবর নিয়ে ফিরে গেছে।
টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ গিয়াস উদ্দিন জানান, অপহৃতদের ২৪ ঘণ্টায় তারা উদ্ধার কিংবা অবস্থান নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে অপহৃতদের উদ্ধারে পুলিশের দুটি টিম কাজ করছে। এর আগে গত শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় কৃষিখেত থেকে ২ রোহিঙ্গাসহ ৯ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ২ জন রোহিঙ্গার পরিচয় না মিললেও অপহৃত বাঙালি নুরুল ইসলামের ছেলে আনোয়ার, বাঁচা মিয়ার ছেলে গিয়াস উদ্দিন, জালাল আহমদের ছেলে বেলাল উদ্দিন, আবুল হোছনের ছেলে আবু বকর, নুরুল আলমের ছেলে মুহাম্মদ আলম, আজিজুর রহমানের ছেলে কফিল ও নুরুল হোছন।
মন্তব্য করুন