ঝিনাইদহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক কমিটির (নাসির-হিলু-ফোটন প্যানেল) বিরুদ্ধে ৭০ লাখ ১২ হাজার টাকার আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২ নভম্বর) দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ঝিনাইদহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান কমিটির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিচালক মো. আব্দুল মতিন মুক্ত। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা দোকান মালিক সমিতির আহ্বায়ক আনায়ারুল ইসলাম বাদশা, ঝিনাইদহ চেম্বার অব কমার্সের কনিষ্ঠ সহসভাপতি মো. বকুল বাশার, চেম্বারের পরিচালক মো. সামছুল ইসলাম, মোস্তাকিম মনির, আলমগীর হোসেন আলম, এম এ সামাদ, এএসএম এনায়েত উল্লাহ (নয়ন), মো. মানিক মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংগঠনটির সভাপতি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আইন অনুযায়ী চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। বাণিজ্য সংগঠন আইন, ২০২২ অনুযায়ী নির্বাচন থেকে শুরু করে সংগঠনের সকল কার্যক্রম আমরা পরিচালনা করেছি। চেম্বারের বিগত কমিটির পরাজিত প্যানেল হয়রানি করার জন্য নানা রকম ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমরা এ সকল কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
চেম্বারের বিগত কমিটির দুর্নীতি ও আর্থিক অনিয়মের বিষয় তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, নাসির-হিলু-ফোটন প্যানেল দীর্ঘদিন চেম্বারের দায়িত্ব পালন করেছে। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে বাণিজ্য মেলার রয়্যালটি বাবদ গৃহীত সর্বমাট এক কোটি ৫ লাখ টাকার পৃথক দুটি চুক্তি হয় (২০১৫ সালে ৫০ লাখ ও ২০১৬ সালে ৫৫ লাখ)। কিন্তু সেখানে আয়ের হিসাব দেখানো হয়েছে মাত্র ৩৪ লাখ ৮৮ হাজার টাকা (২০১৫ সালে ৭ লাখ ও ২০১৬ সালে ২৭ লাখ ৮৮ হাজার টাকা)। বাকি ৭০ লাখ ১২ হাজার টাকার কোনো হিসাব নেই।
চেম্বারের সভাপতি বলেন, পূর্বের কমিটি লাখ লাখ টাকার কোনো হিসাব দেয়নি। এ ছাড়া প্রতি মাসে মাসিক মিটিং করা বাধ্যবাধকতা থাকলেও তারা সে নিয়ম মানেননি। মাসিক মিটিংয়ে প্রতি মাসের আয়-ব্যয়ের হিসাব দিতে হয়। পেশিশক্তির জোরে দীর্ঘদিন নির্বাচন না দিয়ে তারা লুটপাট চালিয়েছে। এখন তারা নির্বাচিত কমিটির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, জুলাই বিপ্লবের শিক্ষা আমাদের সবাইকে গ্রহণ করতে হবে। নেতৃত্ব আসবে,আবার নেতৃত্ব চলে যাবে। কোনো কিছু আঁকড়ে ধরার মাঝে আমরা নেই। দুই বছর পর নিয়মানুযায়ী চেম্বারের নির্বাচন হবে। ব্যবসায়ীরা ভোট না দিলে আমরা পরাজয় মেনে নেব। আমরা ব্যবসায়ীদের জন্য কাজ করতে চাই। নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য চেম্বারের নেতৃত্বে আসিনি।
এ বিষয়ে চেম্বারের সাবেক সভাপতি মীর নাসির উদ্দিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মন্তব্য করুন