কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে শনিবার (২ নভেম্বর) রাত থেকে রোববার (৩ নভেম্বর) সকাল ৭টা পর্যন্ত ফের গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তবে সকাল ৮টার পর থেকে গোলাগুলির শব্দ আর শোনা যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, বেশ কিছু দিন বন্ধ থাকার পর শনিবার রাত ৮টার পর মিয়ানমার থেকে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পান তারা। পরে রাতে গোলাগুলির সঙ্গে বিস্ফোরণের বিকট শব্দও আসে। এ সময় আতঙ্কে সীমান্ত এলাকা থেকে অনেকে সরে আসেন।
টেকনাফের হ্নীলার ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, রাতে হ্নীলার আলীখালী ও চৌধুরীপাড়ার ওপারে মিয়ানমারের বলিবাজার ও কেয়ারিপ্রাং এলাকায় থেমে থেমে গোলাগুলি হয় এবং ১৪/১৫টি মর্টার শেল বিস্ফোরণ হয়। আজ সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত এমন অবস্থা চলে। তবে সকাল ৮টার পর আর কোনো শব্দ পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, জানতে পেরেছি, বলিবাজার এলাকার মিয়ানমারের সেনাবাহিনী আরাকান আর্মির ওপর মর্টার শেল নিক্ষেপ করছে।
এদিকে নাফ নদীর পূর্ব পাশে অবস্থিত মিয়ানমারের মংডু শহরের পেরাংপুরু ও নলবন্ন্যা গ্রামে রাত ১১টার পর থেকে ভোর পর্যন্ত কয়েকবার গোলাগুলি ও মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত সাবেক মেয়র মো. ইসমাইল।
সাবরাং ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুস সালাম বলেন, রাতে টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার ওপারে মিয়ানমারের মংডু শহরের উত্তর পাশ থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, জনপ্রতিনিধিরা সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় গোলাগুলি-বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। মিয়ানমারে সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন