চুরির তালিকায় পাঁচবার প্রথম হয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। তারা যদি চুরি না করত প্রতিবছরে দুটি করে পদ্মা সেতু তৈরি করা যেত এ বাংলাদেশে বলে মন্তব্য করেছেন চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় মুন্সি মেহেরুল্লাহ (টাউন হল) ময়দানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, যশোর জেলা শাখার জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি মন্তব্য করেন।
যশোর জেলা শাখার সভাপতি মিয়া মুহাম্মদ আব্দুল হালিমের সভাপতিত্বে ছাত্র জনতার গণবিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ঘোষণা ও সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি প্রবর্তন এবং কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে জানসভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেজাউল করিম বলেন, জুলুম নির্যাতন অত্যাচারে অতিষ্ঠ জনগণ বিগত দিনের দখলদার, চাঁদাবাজ গুম খুনের সরকার চায় না।
তিনি বলেন, শুধু নেতার পরিবর্তন করলে হবে না সঙ্গে নীতির সংস্কার করতে হবে। দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশ থেকে দুর্নীতি, দুঃশাসন ও লুটপাট বন্ধ করতে হবে। ইসলামের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সকল ইসলামী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সকল ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে চোখ কান খোলা রেখে আগামী নির্বাচনে হাতপাখাকে বিজয়ী করতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও তার দোসররা অর্জিত বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এখনো নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। ইসলামী আন্দোলনের সকল নেতাকর্মীদের এসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে অতন্দ্র প্রহরীর ন্যায় কাজ করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শোয়াইব হোসেন বলেন, গতানুগতিক নির্বাচন ব্যবস্থা বাতিল করে প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পি আর) পদ্ধতি একটি নির্বাচনী ব্যবস্থা চালু করতে হবে। এটি চালু করলে জনগণের ভোটের ভিত্তিতে আসন বরাদ্দ হবে এবং প্রত্যেক রাজনৈতিক দল বা প্রার্থী তাদের প্রাপ্ত ভোটের শতাংশ অনুযায়ী আসন পাবে, যা জনগণের ইচ্ছাকে আরও সঠিকভাবে প্রতিফলিত করবে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মানুষের জান মাল লুটপাট করবে না বরং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে। বিগত ৫৩ বছরে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।
এ সময় বক্তব্য দেন উপদেষ্টা অধ্যক্ষ নাজমুল হুদা, সিনিয়র সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুল আলম খোকা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আবু নসর, সহসভাপতি মাওলানা আব্দুল হালিম, যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সরদার, জেলা সদস্য মাওলানা গোলাম আজম খান, সংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ আব্দুর রশিদ, প্রচার- দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক ও ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক গাজী সহিদুল ইসলাম, শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক ফজলুল করিম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আশিক বিল্লাহ, বাবলুজ্জামান, সদর থানা সভাপতি মো. আখতারুজ্জামান, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম জেলা সভাপতি মাস্টার মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী, চৌগাছা থানা সভাপতি আনিচুর রহমান, বাঘারপাড়া থানার সভাপতি বেলাল হুসাইন, ঝিকরগাছা থানার সভাপতি আব্দুল কাদের, শার্শা থানার সভাপতি মাওলানা কামালসহ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন