জয়পুরহাটের সদর উপজেলার পশ্চিম পেঁচুলিয়া এলাকার সরকারি খাস কোঁচপুকুর দখল নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় করা মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাতে পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, জিতারপুর গ্রামের গোলাম মাওলা, মোতাহার হোসেন, মো. জামিউল, ছানোয়ার হোসেন।
স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার দুই একর আয়তনের কোঁচপুকুর নামে পুকুরে মাছ চাষ করে আসছেন পেঁচুলিয়া গ্রামের রাজেন বর্মনের লোকজন। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে জিতারপুর গ্রামের মওলা, রব্বানী ও ছালামের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন পুকুরটি তাদের পৈতৃক দাবি করে মাছ ছেড়ে দিতে যায়। এতে বাধা দেন দখলে থাকা রাজেন বর্মনের লোকজন। এ সময় সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৭-৮ জন আহত হন।
পেঁচুলিয়া গ্রামের শুভ চন্দ্র বলেন, মৎস্য সমিতির নামে লিজ নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে ওই পুকুরে মাছ চাষ করছি। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। লিজের মেয়াদ শেষ হলেও মামলা থাকায় আর কাউকে লিজ দেওয়া হয়নি। তবে আমরাই মাছ চাষ করে দখলে রেখেছি। পুকুরটি সরকারি খাস সম্পত্তি। শুক্রবার জিতারপুর গ্রামের মওলা ও রব্বানীর নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের একটি দল পুকুরে জোরপূর্বক মাছ ছেড়ে দিতে আসে। এ নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কয়েকজন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জিতারপুর গ্রামের আব্দুস ছালাম বলেন, কোঁচপুকুরসহ পাড়ের সাত বিঘা জমি আমাদের পৈতৃক। পুকুরটি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে। আমরা পুকুরে গেলে তারা বাধা দেয়। আমি আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছি।
জয়পুরহাট সদর থানার ওসি শাহেদ আল মামুন কালবেলাকে বলেন, পুকুরের দখল নিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে মারামারি হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন