নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আকবর হোসেনসহ চারজনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। আহতদের স্থানীয় প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) আদমজী নগর কদমতলীতে থানা বিএনপি আয়োজিত জনসভা শেষ করে বাসায় ফেরার পথে সন্ধ্যা ৭টায় রসুলবাগ এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত অন্যরা হলেন- নাসিক ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন, একই ওয়ার্ডের শ্রমিক দলের যুগ্ম-সম্পাদক মনা হোসেন ও বিএনপির কর্মী মো. হানিফ।
এ বিষয়ে আহত আল-আমিন জানান, জনসভা শেষ করে শিমরাইল মোড় থেকে আমরা রিকশাযোগে সানারপাড় বাঘমারা বাসায় যাচ্ছিলাম। আমাদের বহনকারী রিকশা নাসিক ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শাহ জালাল বাদলের বাড়ি পার হয়ে রসুলবাগ পৌঁছায়। এ সময় কুদ্দুছ মোল্লার ছেলে স্বপন মোল্লার নেতৃত্বে ৪০ থেকে ৫০ জন লোক দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে।
প্রত্যক্ষদর্শী নাসিক ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সহপ্রচার সম্পাদক সাহেদ ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে অন্ধকার থাকায় কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা হামলা করে। এ সময় থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর হোসেনের মাথায়, ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আল-আমিনের হাতে, শ্রমিক দলের নেতা মনা হোসেনের হাত ও রানে এবং হানিফের পিঠে আঘাত করে। এতে তারা রক্তাক্ত জখম হন। তাদের মধ্যে আকবরের অবস্থা গুরুতর।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বপন মোল্লা আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গত ৫ আগস্টের পর থেকে নিজেকে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা পরিচয় দিচ্ছেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে নিহতের ঘটনায় করা কয়েকটি হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, এ হামলার সঙ্গে যারা জড়িত, তারা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দোসর। তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান তিনি।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আল মামুন কালবেলাকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। কারা হামলা করেছে, তা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন