রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, জলাবদ্ধতার কারণে প্রবাহিত খালগুলো অপরিচ্ছন্ন থাকায় রাজশাহীর অধিকাংশ ছোট নদীগুলোতে পানি নামতে পারে না। ঠিক এমনি অবস্থা হয়েছে জেলার বারনই নদীতেও। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।
তিনি বলেন, আমরা খাল-বিলের পানি প্রবহমান রাখতে চাই। সবার সহায়তায় ধান-নদী-খাল এই তিনে রাজশাহীর পুরোনো সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে; যা বরেন্দ্র অঞ্চলের খালবিলের পানি কৃষি ও জীববৈচিত্র্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকালে জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে জেলার পবা উপজেলার গাঙপাড়া খাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজশাহীতে জলাবদ্ধতা নিরসন ও ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নির্মূলের অংশ হিসেবে বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন এবং যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে গাঙপাড়া খালে এই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অভিযান শুরু হয়েছে।
ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, রাজশাহী বরেন্দ্র অঞ্চল হওয়ায় এটি অধিক খরাপ্রবণ এলাকা। এই অঞ্চলের খাল-বিলের পানি কৃষিকাজসহ জীববৈচিত্র্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এ ছাড়া পরিচ্ছন্ন নগর হিসেবে দেশে খ্যাত, এই নগরীকে ডেঙ্গু ও দূষণমুক্ত রাখতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে আজ বায়া ব্রিজ এলাকার গাঙপাড়া খালে সাড়ে ১১ কিলোমিটার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দুয়ারী খাল ও জিয়া খালের অবৈধ দখলমুক্ত ও দূষণমুক্ত করার লক্ষ্যে এই অভিযানের আওতায় আনা হবে। এর ফলে সিটি করপোরেশন এলাকার ৮০ ভাগ খাল দখলমুক্ত ও দূষণমুক্ত করা সম্ভব হবে। এই খালগুলো নতুন করে যেন ময়লা ফেলা না হয়, এ জন্য সব জনগণকে সচেতন হতে হবে।
এর আগে বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে জাতীয় যুব দিবসের উদ্বোধন করা হয়। রাজশাহী সিটি করপোরেশন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে গাঙপাড়া খালের মুখে ময়লা-আবর্জনা অপসারণের কাজে অংশ নেন প্রধান অতিথিসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা।
এরপর, খাল পরিষ্কার অভিযান উদ্বোধন শেষে জাতীয় যুব দিবস-২০২৪ উদযাপনের অংশ হিসেবে ‘দক্ষ যুব গড়বে দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পবা উপজেলা পরিষদে র্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন