দরপত্র জমাদানে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে লালমনিরহাট জেলা যুবদলের কমিটি বিলুপ্তসহ যুবদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার করেছে জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় যুবদল।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বহিস্কৃত তিন নেতা হলেন- লালমনিরহাট জেলা যুবদলের সহসভাপতি ও পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম জুলহাস, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মোমিনুল ইসলাম মমিন ও পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন মিয়া।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- দখল, টেন্ডার সন্ত্রাস, দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ, দলের নীতি আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থি নানা অনাচারের কারণে লালমনিরহাট জেলা যুবদলের সহসভাপতি ও পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম জুলহাস, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মোমিনুল ইসলাম মমিন ও পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন মিয়াকে প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন। ওই বিজ্ঞপ্তিতে লালমনিরহাট জেলা যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত করার কথাও উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট জেলা যুবদলের সভাপতি আনিছুর রহমান আনিছের মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেন নি।
উল্লেখ, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের রোগীদের পথ্য সামগ্রী সরবরাহসহ তিনটি গ্রুপে সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য দরপত্র আহ্বান করে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মোকাদ্দেম। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বুধবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টার মধ্যে তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ের নিদিষ্ট দরবক্সে দরপত্র জমা দিতে বলা হয়।
হাসপাতালের দরপত্র জমাদানে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দরপত্র বক্স ও হাসপাতাল চত্বরে নিরাপত্তা জোরদার করে পুলিশ। সেই পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে সকাল থেকে অন্যদের দরপত্র জমাদানে বাধা দিয়ে আসছিলেন লালমনিরহাট পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম জুলহাস। এ সময় তার বিরুদ্ধে দরপত্র গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষকেও লাঞ্ছিত করারও অভিযোগ উঠে। খবর পেয়ে সেনাসদস্যরা এসে ধাওয়া দিয়ে সদর হাসপাতাল চত্বর থেকে যুবদল নেতা জুলহাসকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হলে ২৪ জন দরদাতা তাদের দরপত্র জমা দেন। এদিকে ওইদিন বিকালেই মুচলেকা নিয়ে জুলহাসকে ছেড়ে দেয় থানা পুলিশ।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম বলেন, দরপত্র দাখিল নিয়ে হট্টগোল করার চেষ্টা করলে জুলহাস নামে একজনকে আটক করা হয়। পরে কেউ অভিযোগ না করায় বিকালেই তাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন