রাজধানী দক্ষিণখানের কাওলায় অবস্থিত নর্দান ইউনিভার্সিটিতে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় দুজনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৯টায় নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি গার্ডকে বেদম মারধর করে ২০-৩০ জনের একদল দুর্বৃত্ত। তারা গার্ডকে মারধর করে দেশীয় অস্ত্রহাতে জোরপূর্বক ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে এবং ভাঙচুর চালায়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা লুৎফর রহমান সানি ও বোরহান উদ্দিন নামে দুজনকে আটক করে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ছুটে আসে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা আসার খবর পেয়ে অন্যান্য দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে আটককৃত দুজনকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীরা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
হামলার ঘটনায় সিকিউরিটি ইনচার্জ রাহাত, হাবিব, মনির, বিল্লালসহ ৬/৭ গুরুতর আহত হয়েছে। আহতরা প্রথমে কুর্মিটোলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
নর্দান ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের সিনিয়র সহকারী পরিচালক লিগ্যাল এন্ড ল্যান্ড মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, সকালে পরীক্ষা চলাকালীন সময় দুর্বৃত্তরা জোরপূর্বক ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, ক্যাশ কাউন্টার, অ্যাডমিশন রুমসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অংশে ব্যপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, লুৎফর রহমান সানি ও বোরহান উদ্দিন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর। তাদের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র- জনতার উপর গুলি চালিয়ে হত্যার অভিযোগে যাত্রাবাড়ি ও ধানমন্ডি থানায় মামলা রয়েছে।
এ ছাড়াও এর আগে এরা দুজন একবার জোরপূর্বক বিশ্ববিদ্যালয় দখল করার চেষ্টা করলে কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে দক্ষিণখান থানায় মামলা করেন।
ভাঙচুরের ঘটনার বিষয়ে দক্ষিণখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: সিদ্দিক খান বলেন, এখন বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পরিবেশ শান্ত আছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন