কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে ঘিরে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের নারী-শিশুসহ অন্তত অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। এ ছাড়াও বেশ কিছু বাড়ি-ঘরে ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনাও ঘটে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভৈরবের সাদেকপুর ইউনিয়নের মৌটুপি গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চালায়।
বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন ভৈরব থানার ওসি (তদন্ত) মো. শাহিন। তিনি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চেষ্টা করছে।
নিহত মো. কাইয়ুম (৫১) উপজেলার মৌটুপি গ্রামের বাসিন্দা ও আ.লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাফায়েত উল্লাহর সমর্থক।
স্থানীয়রা জানায়, এ সময় আহত ১০ জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন অন্তত ২২জন। বাকিরা স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। ফের সংঘর্ষের শংকায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার মৌটুপি গ্রামের সরকার বাড়ির ইউপি চেয়ারম্যান এবং আ.লীগ নেতা মো. শাফায়েত উল্লাহ সমর্থক ও একই গ্রামের কর্তা বাড়ির সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মো. তোফাজ্জল হকের সমর্থকদের মাঝে দীর্ঘ ৫৬ বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে দুইপক্ষের মাঝে ফের সংঘর্ষ বাধে।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ জানান, মৌটুপি গ্রামের দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। ১০ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখনো রোগী আসছে।
মন্তব্য করুন