বিনা টিকিটের যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায়ের নামে বাড়তি টাকা আদায়ের সময় ছাত্রদের কাছে ধরা পড়ে তোপের মুখে সাময়িক বরখাস্ত হলেন পশ্চিম রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় কার্যালয়ের রেলের দুই কর্মচারী।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আনোয়ার হোসেন দুই রেল কর্মচারীর সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে পাবনার ঢালারচর অভিমুখী ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেনে টিকিট চেক করার সময় এ ঘটনা ঘটে।
বরখাস্তকৃতরা হলেন- ট্রেন পরিচালক (গার্ড) জাকারিয়া সোহাগ ও টিকিট পর্যবেক্ষক (টিটিই) নয়ন ইসলাম।
পশ্চিম রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রহনপুর স্টেশন থেকে বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পাবনার ঢালারচর অভিমুখে ছেড়ে আসে ঢালারচর এক্সপ্রেস। এ সময় ওই ট্রেনে দায়িত্বরত টিটিই নয়ন ইসলাম ও ট্রেন পরিচালক জাকারিয়া সোহাগ কয়েকজন বিনা টিকিটের যাত্রীদের কাছে বাড়তি টাকা নিয়ে টিকেট দেননি। পরে রাজশাহী স্টেশন থেকে ট্রেনে থাকা কয়েকজন ছাত্রের কাছে যাত্রীরা অভিযোগ করেন। দায়িত্বরত টিটিই ও গার্ড বিষয়টি প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করে ছাত্রদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরে ছাত্ররা রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানালে পাকশি রেলওয়ে বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাদের দুজনকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত টিটিই নয়ন ইসলাম বলেন, ঘটনাটি যেভাবে শুনেছেন সেভাবে নয়। বিনা টিকিটের যাত্রীদের রুট অনুযায়ী ২-৩ জনের ভাড়ার টাকা একসঙ্গে করে একটি স্ট্যান্ডিং টিকিট দেওয়া হয়। ফলে টিকিটটি একজনের হাতে থাকে। আর যাদের হাতে থাকে না তাদেরকেই ওই ছাত্ররা নিয়ে এসে আমাদের নানা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে মোবাইলে ভিডিও করে। একপর্যায়ে তাদের তোপের মুখে পড়ে বাড়তি টাকা আদায় করেছি বলে স্বীকার করতে বাধ্য হই।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আনোয়ার হোসেন বলেন, বিনা টিকিটে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ করার অভিযোগে দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
পশ্চিম রেলওয়ে পাকশি বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহসুফি নূর মুহাম্মদ বলেন, আমি এই মুহূর্তে ঢাকায় অবস্থান করছি। তবে বরখাস্তের বিষয়টি শুনেছি। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন