নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের রাজধানীর শ্যামপুর থানা সভাপতি রনি আলমকে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে র্যাব-১০ এর একটি দল শ্রীনগর থানাধীন সানবাড়ি চার রাস্তার মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার বলেন, গত জুলাই থেকে দেশব্যাপী কোটাবিরোধী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, আইনজীবীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে এবং পরে তা গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। কোটা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানী বিভিন্ন এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন শ্রেণির নেতাকর্মী ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা দেশি-বিদেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারী নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর আক্রমণ করে।
তিনি বলেন, গত ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় ছাত্রলীগ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা রামদা, হকিস্টিক, লোহার রড, লাঠিসহ বিভিন্ন প্রকার অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রাজধানীর শ্যামপুর থানাধীন জুরাইন এলাকায় এস আহমেদ নামক একটি সিএনজি পাম্পে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এ সময় পাম্পের দুটি তেলের ডিসপেন্সারে আগুন দিয়ে সম্পূর্ণ পুড়িয়ে ফেলে। যাতে প্রায় এক কোটি ৮ লাখ ২৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।
তাপস কর্মকার আরও বলেন, এ ছাড়া সন্ত্রাসীদের ভাঙচুরে বাধা প্রদান করায় পাম্পে ম্যানেজারসহ একাধিক কর্মচারীদের মারধর করে জখম করে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। পরে ওই পাম্পের ম্যানেজার খাইরুল আলম (৫০) স্থানীয় লোকজনদের সহযোগিতায় পাম্পের আগুন নিভিয়ে আহতদের চিকিৎসা দেন এবং বিষয়টি পাম্পের মালিককে জানায়। পাম্পের মালিক ও ম্যানেজার বিভিন্ন সিসি টিভির ফুটেজ যাচাইবাছাই করে আসামিদের চিহ্নিত করে রাজধানীর শ্যামপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি রনি আলমসহ ৪৮ জন এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো ১০০/১৫০ জন নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার পর নাশকতায় জড়িতরা আত্মগোপনে চলে যায়।
এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানাধীন সানবাড়ি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে শ্যামপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি রনি আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার রনি ঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন