কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার দুলালপুর-বালিনা সড়কটি সংস্কারের অভাবে আগে থেকেই ভাঙাচোরা ছিল। সাম্প্রতিক বন্যায় সড়কটির বিভিন্ন অংশে ছোট-বড় গর্ত হওয়ার পাশাপাশি কয়েকস্থানে সড়কের বৃহদাংশ ভেঙে পুকুরে বিলীন হয়ে গেছে। এতে এ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা গেছে, উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের দুলালপুর-বালিনা সড়কটি পাশের দেবিদ্বার উপজেলার সংযোগ সড়ক। উপজেলা সদরের সঙ্গে দুলালপুর ও শিদলাই ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম এ সড়ক। প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ এই গুরুত্বপূর্ণ ইটের সলিংয়ের সড়কটির সমস্ত জায়গাজুড়ে খানাখন্দ, ছোট-েবড় গর্ত অতিক্রম করেই ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ এ দুই উপজেলার দশ গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। তবে এবারের বন্যার পানিতে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ ১৫ বছরেও মেরামতের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় এ অবস্থা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দুলালপুর-বালিনা সড়কের বিভিন্ন অংশ খানাখন্দে ভরা। কোথাও কোথাও সড়কের অংশ ভেঙে খালে বিলীন হয়েছে। এ সড়কটির পাশে দুটি বড় পুকুর রয়েছে, এসব পুকুরের নিজস্ব কোনো পাড় নেই। সড়কটিকে পুকুরের পাড় হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। যার ফলে এবারের বন্যায় সড়ক ভেঙে পুকুরে বিলীন হয়ে যাওয়ায় এ সড়কটি যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, এই দেড় কিলোমিটার সড়ক আগে থেকেই সংস্কারের অভাবে খানাখন্দ ও ছোট-বড় গর্ত হয়ে ছিল। গেল বন্যায় সড়কটির আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার ফলে পোমকাড়া, পূর্ব পোমকাড়া, পশ্চিম পোমকাড়া, বেড়াখলা, বালিনা, দুলালপুর ও দেবিদ্বার উপজেলার ফাতেহাবাদ, সুবিল, ১১ গ্রামসহ বিভিন্ন গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ কয়েক বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বন্যার পর এ দুর্ভোগ আরও বেড়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, এই সড়কটি অনেক আগে থেকেই নষ্ট ছিল। দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কের সংস্কার করা হয়নি। এবারের বন্যা এ সড়কটিকে চলাচলের অনুপযোগী করে তুলেছে। এ সড়কে যানবাহন যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। আমাদের কোথাও যেতে হলে অনেকটা পথ হেঁটে গিয়ে যানবাহনে উঠতে হচ্ছে।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স ম আজহারুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, দুলালপুর ইউনিয়নের দুলালপুর-বালিনা সড়কটি আমি পরিদর্শন করেছি। ঘনবসতিপূর্ণ ওই ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামকে সংযুক্ত করেছে সড়কটি। এর দুর্দশায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী। আমিও তাদের সঙ্গে সমব্যথী। ওই এলাকার সাধারণ মানুষদের দুর্ভোগ দূর করতে ইতোমধ্যে সম্ভাব্য প্রাক্কলনসহ সড়ক পুনর্নির্মাণের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই ওই সড়কের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।
মন্তব্য করুন