বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতকালীন শাক-সবজি। দোকানগুলোতে শীতের সবজির পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। এতে বাজারে কমতে শুরু করেছে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা অস্থিরতা।
অন্যদিকে জয়পুরহাটে রাজ কুমার খেতান নামে এক সবজি ব্যবসায়ী ‘একটু সুখের সবজির বাজার’ দোকান দিয়ে বেশ আলোচনায় রয়েছেন শহরজুড়ে। তিনি বাজার মূল্যের চেয়ে প্রতি কেজি সবজি ১৫-২০ টাকা কমে বিক্রি করছেন। এতে স্বল্প আয়ের মানুষ কম দামে সবজি কিনতে পেরে বেজায় খুশি। কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি টাটকা সবজি কিনে বিক্রি করছেন তিনি।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) জয়পুরহাট শহরের নতুনহাট সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি আলু ৬০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১৫০ টাকা, কপি ৬০ টাকা, মুলা ৪০, বেগুন ৬০, শসা ৪০, শিম ১৬০, মরিচ ১৪০, করলা ৬০-৭০ টাকা, লাউ ২৫ টাকা, পেঁপে ২০, ঝিঙে ৪০, বরবটি ৬০, মিষ্টি লাউ প্রতি কেজি ৬০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে খুচরা সবজি বাজারে।
জয়পুরহাট শহরের ব্যবসায়ী রাজ কুমার খেতান কালবেলাকে জানান, ‘একটু সুখের বাজার’ নাম দিয়ে তিনি সবজি বিক্রি করছেন বাজার থেকে কম দামে। দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ সাশ্রয় মূল্যে সবজি কিনছেন। তার দোকানে প্রতি কেজি আলু ৩০ টাকা, লাউ ১০ টাকা, পটল, বেগুন, মুলা, ঢেঁড়শ, শসা, করলা ৩০ টাকা কেজি। বাঁধাকপি, ফুলকপি প্রতি কেজি ২০ টাকা। ঝিঙে, পেঁপে ও এক হালি কাঁচকলা ১০ টাকা, শিম, টমেটো, কাঁচামরিচ ৯০ টাকা কেজি দামে বিক্রি করছেন।
তিনি জানান, বেশ কিছুদিন থেকে সবজি বাজারে সবজি কিনতে গিয়ে স্বল্প আয়ের মানুষরা আর্থিক কষ্টে পড়ে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে কাঁচা তরিতরকারির বাজারের সিন্ডিকেট ভেঙে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা।
খুচরা সবজি ক্রেতারা জানান, আগের দামের তুলনায় পেঁয়াজ বাদে কিছু কিছু সবজির দাম সামান্য কমেছে।
নতুনহাটের সবজি ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন ও বাবু মিয়া জানান, শহরের শিব মন্দিরের ‘একটু সুখের বাজারে’ কম দামে সবজি বিক্রি হওয়ায় তাদের কেনা-বেচা কিছুটা হলেও কমেছে।
জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ডিডি) কৃষিবিদ রাহেলা পারভিন কালবেলাকে বলেন, ‘একটু সুখের সবজির বাজারে’ কম দামে সবজি বিক্রি করার উদ্যোগটি মহৎ। এভাবে বিত্তবানরা এগিয়ে এলে সবজির বাজারে দাম কমে আসবে। কিছু দিনের মধ্যে শীতের সবজি নামলে দাম আরও কমবে।
মন্তব্য করুন