কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পদ্মায় জেলেদের হামলায় নিখোঁজ কুমারখালী থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মুকুল হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকাল আটটার দিকে পাবনার সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ ঘাট এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ও নৌপুলিশ।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়ার শিলাইদহ ঘাট এলাকা থেকে এএসআই সদরুল হাসানের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
পাবনার সুজানগর থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, আজ বুধবার সকাল আটটার দিকে নাজিরগঞ্জ ঘাট এলাকায় একটি মরদেহ ভাসতে দেখে নাজিরগঞ্জ ক্যাম্প পুলিশ ও নৌপুলিশের যৌথ সহায়তায় উদ্ধার করা হয় মরদেহটি। পরে তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন কুষ্টিয়ায় জেলেদের হামলায় নিখোঁজ কুমারখালী থানার এএসআই মুকুল হোসেনের মরদেহ এটি।
কুমারখালী থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, সুজানগর থানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তাদের এলাকায় উদ্ধার মরদেহটি কুমারখালী থানার এএসআই মুকুল হোসেনের।
এর আগে রোববার (২৭ অক্টোবর) রাত ৩টার দিকে কুমারখালীর পদ্মা নদীতে আসামি ধরতে অভিযানে যায় কুমারখালী থানার এসআই নজরুলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য। কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বেলতলা নামক স্থানে পদ্মায় জেলেদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে নৌকা থেকে পড়ে নিখোঁজ হন কুমারখালী থানার এএসআই সদরুল হাসান ও মুকুল হোসেন। আহত হন এসআই নজরুলসহ স্থানীয় দুই ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন ও ছানোয়ার। নিখোঁজ দুই পুলিশ কর্মকর্তার সন্ধানে সোমবার বিকেল থেকে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে খুলনা থেকে আসা সাত সদস্যের একটি ডুবুরি দল।
মন্তব্য করুন