গৌরনদী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারিছুর রহমান হারিছকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গৌরনদী-আগৈলঝাড়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, গত ৫ আগস্টের পর আত্মগোপনে থাকা ‘গৌরনদীর গডফাদার’ খ্যাত হারিছুর রহমান হারিছকে রাজধানীর রামপুরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অপরদিকে হারিছুর রহমানকে গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে মিষ্টি বিতরণ ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ শত শত জনতা হারিছের ফাঁসির দাবিতে ঝাড়ু মিছিল করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুধু বিরোধী দলের নেতাকর্মীই নয়; হারিছুরের অত্যাচার থেকে রেহাই পায়নি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও। পাশাপাশি স্থানীয় পেশাজীবী, গণমাধ্যমকর্মী ও সাংবাদিক সংগঠনগুলোও হারিছের হাত থেকে রেহাই পায়নি। ক্ষমতার প্রভাবে হারিছুর রহমান স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে সরকারি সব উন্নয়নমূলক কাজ থেকে কমিশন বাণিজ্য, বেপরোয়া চাঁদাবাজি ও দখলের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া জানিয়েছেন, সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারিছুর রহমানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে আজই আদালতে পাঠানো হবে।
নির্যাতিত জনতার ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী মিছিল শেষে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মিজানুর রহমান খান মুকুল, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ সরোয়ার আলম, সদস্য সচিব জহির সাজ্জাদ হান্নান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বদিউজ্জামান মিন্টু, পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সফিকুর রহমান শরীফ স্বপন, সদস্য সচিব ফরিদ মিয়াসহ অন্যরা।
মন্তব্য করুন