রাজবাড়ীতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ শিকার করার অপরাধে ২৭ জেলেকে আটক করে তাদের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ১ লাখ ১৮ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জেলার পদ্মা নদীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর থেকে গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাট পর্যন্ত ৫৭ কিলোমিটার অংশে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য বিভাগ এ অভিযান চালায়। পরে জেলেদের আটক, জাল পুড়িয়ে ধ্বংস ও ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়।
এছাড়াও কয়েকজন জেলেকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা ও জব্দ করা ১২৮ কেজি ইলিশ মাছ এতিমখানায় দান করে দেওয়া হয়েছে।
জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ১৬ দিনে জেলায় মা ইলিশ রক্ষা অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত মোট ১৮৬ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। তাদের ৯৭ হাজার ৪০০ টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়। এছাড়াও এই ১৬ দিন অভিযান চালিয়ে ইলিশ শিকারে ব্যবহৃত অবৈধ ১৩ লাখ ২৪ হাজার মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস ও ১ হাজার ৫৯ কেজি ইলিশ মাছ জেলেদের কাছ থেকে জব্দ করে স্থানীয় এতিমখানায় দান করে দেওয়া হয়েছে।
রাজবাড়ী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তফা আল রাজীব বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৪ উপলক্ষে পদ্মা নদীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর থেকে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট পর্যন্ত ৫৭ কিলোমিটার অংশে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে অবৈধভাবে ইলিশ শিকারের দায়ে ২৭ জেলেকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়।
তিনি বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় মৎস্য বিভাগসহ প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। জেলেরা নদীতে নামলেই তাদের নিয়মিত জেল-জরিমানা করা হচ্ছে। আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত আমাদের এ অভিযান চলবে।
মন্তব্য করুন