কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে যাচ্ছে আরও ৯ শতাধিক রোহিঙ্গা। তার মধ্যে ভাসানচর থেকে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বেড়াতে আসা ৩৯৫ জন রোহিঙ্গা রয়েছে।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে উখিয়া থেকে এসব রোহিঙ্গাদের বহনকারী বাস চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয় বলে কালবেলাকে জানিয়েছেন কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা নয়ন।
তিনি বলেন, সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গারা উখিয়া ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণে অস্থায়ী ট্রানজিট সেন্টারে আসতে শুরু করে। সেখানে আসা রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন কার্যক্রম চালায় শরণার্থী কমিশনার কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্টরা।
এবার ২৪তম দফায় স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক নতুন রোহিঙ্গার সংখ্যা ৫০৬ জন। এ ছাড়া ভাসানচর থেকে আত্মীয়-স্বজনের কাছে বেড়াতে আসা ৩৯৫ জন। সব মিলিয়ে ৯০১ জন রোহিঙ্গাকে নোয়াখালী ভাসানচরের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে। সোমবার রাত ১২টার পর বাসযোগে এসব রোহিঙ্গাদের উখিয়া থেকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা নিয়ে যাওয়া হয়।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা পৌঁছার পর জাহাজযোগে এসব রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান তিনি। এ ছাড়া ভাসানচর থেকে ভেড়াতে আসা তিনশো রোহিঙ্গাও ভাসানচরের উদ্দেশ্যে তাদের সফরসঙ্গী হবে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের তথ্য মতে, এর আগে সর্বশেষ গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ২৩তম দফায় ১ হাজার ৫২৭ রোহিঙ্গা ভাসানচরে গিয়েছিল। এর আগে ২২ দফায় মোট ৩২ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠানো হয়। বিগত ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় রোহিঙ্গারা ভাসানচরে যেতে শুরু করেছিল।
সরকার নোয়াখালীর ভাসানচরে একলাখ রোহিঙ্গা বসবাসের জন্য আবাসন তৈরি করেছে। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে সাড়ে ১২ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে। এর মধ্যে ৮ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরে কয়েক মাসের মধ্যে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। কিন্তু ৭ বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ফেরত নিয়ে যায়নি।
মন্তব্য করুন