কুষ্টিয়ায় কুমারখালী উপজেলার পদ্মা নদীতে পুলিশ ও স্থানীয় দুই ইউপি সদস্যর ওপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে দুই পুলিশ সদস্য নিখোঁজ হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুজন।
তবে এ ঘটনায় উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহমদুল হাসান বলেন, রাতে আমাদের কোনো অভিযান ছিল না। তবে স্থানীয়রা জানান, জেলেদের কাছে অনৈতিক সুবিধা দাবি করায় হামলা চালিয়েছেন তারা।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার বেড় কালোয়া এলাকার পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ দুই সদস্য হলেন, সহকারী উপপরিদর্শ (এএসআই) সদরুল আলম ও মুকুল হোসেন। আহতরা হলেন, কয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ছানোয়ার হোসেন ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আনোয়ার হোসেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ভোর ৪টার দিকে একটি নৌকায় স্থানীয় দুই ইউপি সদস্য ছানোয়ার ও আনোয়ার কুমারখালী থানার চারজন পুলিশকে নিয়ে পদ্মা নদীতে যান। এ সময় অবৈধভাবে জাল ফেলে মাছ নিধন করছিলেন জেলেরা। পুলিশের নৌকাটি জেলেদের দিকে এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা তাদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা চললেও পদ্মা নদীতে প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে মাছ শিকার করছে জেলেরা। ওই এলাকায় জেলেদের প্রধান ইয়ারুল। পদ্মায় তার নেতৃত্বে একটি বাহিনীও আছে। সোমবার ভোরে স্থানীয় ইউপি সদস্যদের সহযোগিতায় কয়েকজন পুলিশ নৌকা নিয়ে পদ্মা নদীতে যান। এ সময় তারা অভিযানের নামে জেলেদের মাছ লুটে নেওয়ার চেষ্টা করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বেশ কয়েকটি নৌকায় ১৫-২০ জন তাদের ওপর হামলা চালান। হামলাকারীদের মাথায় হেলমেট ছিল।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, পদ্মায় একটি ঘটনায় কুমারখালী থানা পুলিশের দুজন উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই) নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধারে পুলিশের একাধিক দল নৌকা নিয়ে পদ্মায় তল্লাশি চালাচ্ছে। তবে তারা কী কারণে এখানে এসেছিল সেটা এখন পর্যন্ত পরিষ্কারভাবে জানতে পারিনি। পরে বিস্তারিত জানানো হবে। ঘটনাস্থলে পুলিশ সুপারসহ আমরা রয়েছি।
মন্তব্য করুন