কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার খালপাড়ে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় আইরিন আক্তার নামের এক গৃহবধূর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে আইরিন ছয় দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন বলে প্রচার করেন স্বামী সেলিম মিয়া।
রোববার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার বাইশগাঁও ইউনিয়নের বাইশগাঁও গ্রামের নদনা খালপাড় থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আইরিন আক্তার উপজেলা সদরের দিশাবন্দ গ্রামের দুলাল মিয়ার মেয়ে। তার তিন বছর বয়সী একটি ছেলে ও সাত বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। প্রায় ৯ বছর আগে বাইশগাঁও গ্রামের নদনা খালপাড়ের বাসিন্দা সেলিমের সঙ্গে আইরিনের বিয়ে হয়।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে বাইশগাঁও গ্রামে সেলিমের নতুন বাড়িসংলগ্ন নদনা খালপাড়ে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকলে মাটিচাপা দেওয়া লাশের বিষয়টি জানতে পারেন। খবর পেয়ে বিকেলে ওই গৃহবধূর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এলাকাবাসী লাশের সন্ধান পাওয়ার পরপরই সেলিম পালিয়ে যান। যৌতুক ও পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে আইরিনকে। স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন গৃহবধূকে হত্যার পর বাড়িসংলগ্ন খালপাড়ে মাটিচাপা দেন। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক থাকায় শ্বশুর-শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
আইরিনের মা ছায়েরা খাতুন বলেন, নিখোঁজের আগের দিন ২০ অক্টোবর বিকেলে আমি মেয়ের বাড়ি থেকে আসি। ২১ অক্টোবর সকালে সেলিম মুঠোফোনে কল দিয়ে জানায়, আইরিনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি জানার পর ওই দিন থানায় গিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি। কিন্তু বুঝতে পারিনি, তারা মেয়েটাকে খুন করে মাটিচাপা দিয়েছে। আমি হত্যাকারীদের বিচার চাই।
মনোহরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (লাকসাম সার্কেল) সোমেন মজুমদার বলেন, এ ঘটনায় শ্বশুর, শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। পরে হত্যা মামলায় দেখা হয়।
মন্তব্য করুন