বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, রাষ্ট্রপতির ব্যাপারে আমিরে জামায়াত তার ফেসবুক পোস্টে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এটাই আমাদের অবস্থান। আমরা পরিষ্কার বলতে চাই, বাংলাদেশের যে সংবিধানের অজুহাত তুলে রাষ্ট্রের এই সংকটকে জিইয়ে রাখা হয়েছে। সংবিধানের অজুহাত দেওয়া উচিত নয়।
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থান কোনো সংবিধান মেনে হয়নি, উপদেষ্টা পরিষদ সংবিধান মেনে হয়নি। আমরা উপদেষ্টা পরিষদকে বলবো, যাতে ঐক্যমতের ভিত্তিতে একটা ন্যাশনাল কন্সেসাস তৈরি করে আমরা যেমন সরকার গঠন করেছি, শেখ হাসিনার সেই ফ্যাসিস্টকে বিদায় করেছি, উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত করেছি তেমনি জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতির ইস্যুটাকেও আমরা সমাধান করতে চাই।
জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতির ইস্যু সমাধান হবে। যে দলগুলো মিলে আমরা ফ্যসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি, একটা ইস্যুকে নিয়ে সেই দলের মধ্যে বিভক্তি তৈরি হোক জামায়াতে ইসলামী তা কামনা করে না। একটু সময় লাগলেও জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে আগস্টের বিপ্লবের মূল চেতনাকে ধারণ করে আমাদের এই রাষ্ট্রপতির ইস্যুটাকেও সমাধান করতে হবে। এ ব্যাপারে জামায়াত সর্বোচ্চ সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বরিশাল মহানগরের আয়োজনে সিরাতুন্নবি (সা.) মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নতুন কোনো ষড়যন্ত্র না হলে আর ইসলামি দলগুলোর মধ্যে আন্তরিকতা থাকলে দলগুলোর দূরত্ব কমবে, একটা ঐক্যের পরিবেশ তৈরি হবে। জামায়াত আমিরের উদার আন্তরিকতায় সব ইসলামি দল-মত ব্যক্তিত্ব শায়েক ওলামায়ে কেরাম তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন ও বৈঠক করেছেন।
বিভিন্ন সময় দফায় দফায় তাদের সঙ্গে বসছে, আলাপ-আলোচনা করছে। অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় ইসলামিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রবল আকুতি লক্ষ করা যাচ্ছে। ছোটখাটো যেসব মতপার্থক্যগুলো আছে, মতপার্থক্যগুলো আলাদা রেখে মুসলিম উম্মা ও জাতির কন্টেস্টে যেসব পয়েন্টে ঐক্য হওয়া সম্ভব, সেগুলোকে সামনে নিয়ে ঐক্যের একটা ফরমুলা আমরা তৈরি করছি, সব দল এ ব্যাপারে আন্তরিকতা ও আগ্রহ দেখাচ্ছে।
বরিশাল মহানগর জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা জহির উদ্দিন মু. বাবরের সভাপতিত্ব এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মুয়াজ্জেম হোসাইন হেলালসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।
এর আগে মহানবী হজরত মোহাম্মদ (স.)-এর জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা। পরে প্রধান অতিথি ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মাঝে ক্রেস্ট তুলে দেন।
মন্তব্য করুন