পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পদে নবপদায়নকৃত ডা. মামুন হাসানকে অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করা হয়েছে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে নেছারাবাদ হাসপাতালের সামনে বৈষম্যবিরোধী সাধারণ ছাত্রছাত্রীসহ সর্বস্তরের মানুষ ওই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
বিক্ষোভকারীরা নেছারাবাদ জগন্নাথকাঠি বন্দর থেকে মিছিল নিয়ে বের হয়ে স্বরূপকাঠি পৌরশহরের প্রধান প্রধান কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে ডাক্তার মামুন হাসানের দুর্নীতিসহ তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে স্লোগান দেয়। পুনরায় মিছিলটি হাসপাতালের সামনে এসে শেষ করে।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন সাবেক পৌর মেয়র মো. শফিকুল ইসলাম ফরিদ, সমাজসেবক মো. নাসির উদ্দীন তালুকদারসহ স্থানীয় ছাত্র-জনতার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। সেখানে বক্তারা ডাক্তার মামুন হাসানের দুর্নীতিসহ গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কথা তুলে ধরে বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, ডাক্তার মামুন হাসান শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ হেলালের পালিত লোক। তিনি শেখ হেলালের প্রভাব দেখিয়ে চিতলমারীতে চিকিৎসার মতো মহৎ পেশায় দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিলেন।
বক্তারা আরও বলেন, ডা. মামুন হাসান আওয়ামী লীগের ব্যানারে থেকে চিতলমারীতে যা ইচ্ছে তাই করেছেন। এমনকি তিনি ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের বিরুদ্ধে থেকে সেখানকার বিএনপিসহ ছাত্রদের হয়রানি করেছেন। তাই তার মতো দুর্নীতিবাজ ও দেশদ্রোহীকে নেছারাবাদ হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পদ থেকে অপসারণের জোর দাবি জানাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিরোজপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. মিজানুর রহমান কালবেলাকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার নেছারাবাদ হাসপাতালে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা পদে ডা. মামুন হাসানের পদায়ন হয়েছে। তবে এখনো তিনি সেখানে যোগদান করেননি। তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগের কথা স্থানীয় মানুষ ফোন করে জানিয়েছে। আমি বিষয়টি ইতোমধ্যে বিভাগীয় পরিচালকের কাছে জানিয়েছি। আজকের বিক্ষোভের বিষয়টিও আমি তাকে জানাব।
প্রসঙ্গত, ডা. মামুন হাসান বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। গত ৫ আগস্টের পর তার বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ এনে ছাত্র-জনতা সেখানে বিক্ষোভ করেছে।
মন্তব্য করুন