চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে দশ লাখ টাকার ছিনতাই, হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে স্থানীয় সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক পৌরসভার মেয়রসহ ৪০ জনের নামে মামলা হয়েছে। এ মামলায় আসামি করা হয়েছে দুই বছরের শিশু ও মৃত ব্যক্তির নামে।
গত ২১ অক্টোবর (সোমবার) সন্দ্বীপ থানায় মামলাটি করেন জাতীয়তাবাদী সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সন্দ্বীপ উপজেলার সাবেক সভাপতি মো. আশ্রাফ উল্যা।
জানা গেছে, মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে সন্দ্বীপ উপজেলার সাবেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম চৌধুরী রহিমের পিতা মৃত ওমর গণি চৌধুরীকে আসামি করা হয়। উক্ত মামলার ৩১ নাম্বার আসামি ওমর গণি চৌধুরী প্রায় ৩০ বছর আগে মৃত্যুবরণ করেন। এ ছাড়া স্থানীয়রা জানায়, মামলাটির ৩৪ নাম্বার আসামি আশেক এলাহি মুন্না একজন ২ বছরের শিশু।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, একত্রিশ নাম্বার আসামি একজন মৃত ব্যক্তি। হয়তো পুত্রকে আসামি করতে গিয়ে পিতার নামে ভুলে করেছে। চৌত্রিশ নাম্বার আসামি চাচার নামের সঙ্গে কিছুটা মিল থাকার কারণে হয়তো দুই বছরের শিশু ভাতিজার নাম এসেছে। বাকি আসামিরা সবাই স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী অঙ্গসংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ২০১৭ সালের ২১ জুনে সন্দ্বীপের জাতীয়তবাদী বিএনপির সাবেক এমপি প্রার্থী মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল সন্দ্বীপের বিভিন্ন স্থানে অসহায় নিরীহ গরীব লোকজনকে সাহায্য সহযোগিতা করার জন্য ঈদ উপলক্ষে নগদ দশ লাখ টাকা নিয়ে বাসা থেকে বের হন। পরবর্তীতে আসামিগণ মোটরসাইকেল গতিরোধ করে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।
সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম কালবেলাকে জানান, ৩১ নাম্বার আসামির পিতা অজ্ঞাত। আর এই মৃত্যু ব্যক্তি ও চৌত্রিশ নাম্বার আসামি একজন শিশু সে বিষয়ে জানতে পারিনি। কেউ এ বিষয়ে জানায়নি।
মামলার পর এজাহারভুক্ত আসামিগণ পলাতক রয়েছেন। অজ্ঞাত নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার বেশিরভাগ আসামি আত্মগোপনে থাকায় অভিযোগের বিষয়ে তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
মন্তব্য করুন