গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শ্বশুরবাড়িতে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ছাত্রদল নেতার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে উপজেলার মেদি এলাকার নামাসোলা খালপাড় গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে মারা যান তিনি।
জাহাঙ্গীর আলম মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের সৈয়দপুর এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে। তিনি উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
নিহতের চাচা আমিনুর ইসলাম বলেন, গত মার্চে জাহাঙ্গীরের মামাতো বোন শিফার সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক হয়। আংটি পরানোর দিন অন্য এক ছেলের সঙ্গে পালিয়ে যায় শিফা। পরে সালাহউদ্দিন তার হবু স্ত্রীকে খুঁজে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর বিষ পান করেও আত্মহত্যার চেষ্টা করে মেয়েটি। গত তিন মাস আগে শিফাকে বিয়ে করে জাহাঙ্গীর। এর পর থেকে কিছু সময় নিজের বাড়ি ও বাকি সময় শ্বশুরবাড়িতে ছিল শিফা। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে শ্বশুরবাড়িতে জাহাঙ্গীরের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়ে দেখতে পায় জাহাঙ্গীরের নাক দিয়ে রক্ত ঝরছে। পরে বিষয়টি কালিয়াকৈর থানা পুলিশকে অবহিত করি আমরা।
তবে এ বিষয়ে জানতে শিফার পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
মির্জাপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডিএম শফিকুল ইসলাম ফরিদ বলেন, জাহাঙ্গীর আলম একজন ভালো ছেলে ছিল। অল্প বয়সে তার মৃত্যুর বিষয়টি শুনে খুবই কষ্ট পেয়েছি। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাই।
কালিয়াকৈর থানার ওসি রিয়াদ মাহমুদ বলেন, শ্বশুরবাড়িতে ছাত্রদল নেতার মৃত্যুর বিষয়টি জেনেছি। লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়া গেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
মন্তব্য করুন