ঘূর্ণিঝড় ‘দানার’ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বরিশালে। সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কখনো গুঁড়িগুঁড়ি কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। বাতাসের গতিবেগও বাড়ছে। সাধারণ জনজীবন বিঘ্নিত। এমন অবস্থায় অভ্যন্তরীণ রুটের সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বেলা ১১টা ১০ মিনিটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে কালবেলাকে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ’র বরিশালের সহকারী পরিচালক রিয়াদ হোসেন।
নদী বন্দরসমূহে ২নম্বর সতর্কতা সংকেত থাকায় ও আবহাওয়া হঠাৎ খারাপ হওয়ায় অভ্যন্তরীণ রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বিআইডব্লিউটিএ। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে একতলা বিশিষ্ট সব লঞ্চ। তবে ঢাকা-বরিশাল নৌপথের লঞ্চ চলাচলে এখনও নিষেধাজ্ঞা হয়নি।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ মোকাবিলায় বরিশাল জেলার ৫৪১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ৫০০ জন করে মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন বরিশালের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।
জেলা প্রশাসক জানান, ৫৪১ আশ্রয়কেন্দ্রের বাইরে জেলায় অবস্থিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, কলেজসহ ৭৯৮টি এবং ১৫০০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনও দুর্যোগকালের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া ত্রাণ কাজ পরিচালনার জন্য ১২ লাখ ২৬ হাজার টাকা নগদ অর্থ, শিশু খাদ্যের জন্য ৫ লাখ ও গো খাদ্যের জন্য ৫ লাখ টাকা রয়েছে। মজুত রাখা হয়েছে ৫৬৯ টন চাল। এ ছাড়া শুকনো খাবার ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সরবরাহ করা হচ্ছে। এ মুহূর্তে সেনাবাহিনী মাঠপর্যায়ে রয়েছে, তাই যে কোনো পরিস্থিতিতে তারাও সহযোগিতা করতে পারবে বলেও জানান তিনি।
আবহাওয়া অফিস জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালে ৭ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তবে বেলা ১১টায় যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে তা এখনও পরিমাপ করা হয়নি। বর্তমানে বাতাস ৪০ কিলোমিটার বেগে বইছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিকেলে আরও বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে জানান তারা।
মন্তব্য করুন