ঘূর্ণিঝড় ‘দানার’ তাণ্ডবে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ৭টি ঘর ভেঙে লন্ডভন্ড হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩ জন। আহতদের উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার দেউলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন ইউপি সচিব মো. মুনসুর হেলাল।
উপজেলার দেউলী গ্রামের মো. সেলিম হাওলাদার, মো. আলমগীর সিকদার, মো. করিম মিয়া, আবুল মিয়া, মো. জাকির মিয়া এবং মো. সাকিরসহ ৭ জনের বসতঘর ভেঙে লন্ডভন্ড হয়ে যায়।
জানা যায়, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। তাই পায়রা বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সর্তক সংকেত দেখিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এর প্রভাবে মির্জাগঞ্জ উপজেলায় রাত থেকে মুষলধারে বৃষ্টিপাত ও মাঝে মাঝে দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। টানা বর্ষণের ফলে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় দেখা দিয়েছে জলবদ্ধতা। ঘরমুখো হয়ে পড়েছে কর্মজীবী নিম্ন আয়ের লোকজন।
ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, হঠাৎ বৃষ্টির সঙ্গে বাতাস শুরু হয়। বাতাসের তাণ্ডবে গাছ ভেঙে পড়েছে ঘরের উপর। একেবারেই তছনছ হয়ে গেছে। থাকার মতো কোনো উপায় নেই। এখন পরিবার পরিজন নিয়ে কোথায় থাকব?
পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিস জানায়, উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য সব মাছধরার ট্রলারসমূহকে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপজেলা ৬০টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও শুকনো খাবার রয়েছে। ভেঙে যাওয়া ঘরগুলোর ক্ষয়ক্ষতি নির্ণয় করে তাদের পুনর্বাসনের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন