ফরিদপুরের নগরকান্দায় মুক্তা আক্তার নামে এক গৃহবধূর গলাকাটা রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করেছে পরিবারের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের শ্রীরামদিয়া গ্রামে গৃহবধূকে রান্নাঘর থেকে উদ্ধার করেন পরিবারের সদস্যরা। পরে হাসপাতালে নেওয়া পথে মারা যান তিনি।
নিহত মুক্তা আক্তার উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের শ্রীরামদিয়া গ্রামের আরিফ চৌধুরীর স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, ভোরে পাচু শেখ নামে এক প্রতিবেশী গোঙানির আওয়াজ শুনে নিহতের স্বামী আরিফ চৌধুরীকে ডাকেন। পরে বাড়ির রান্নাঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় মুক্তা আক্তারকে পাওয়া যায়।
নিহতের স্বামী আরিফ চৌধুরী বলেন, মধ্যরাতে আমার শিশু সন্তান কান্নাকাটি করায় স্ত্রী তাকে খাওয়ায়। পরে আবার ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে আমার এক প্রতিবেশীর ডাকে ঘুম ভাঙে। তখন আমার স্ত্রী পাশে ছিল না। প্রতিবেশী আমার কাছে জানতে চান, কোথায় থেকে গোঙানির শব্দ আসে। তখন আমি বললাম বাইরে আমার স্ত্রী আছে তাকে জিজ্ঞেস করেন। কিন্তু তাকে অনেক ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে রান্না ঘরে গিয়ে স্ত্রীকে গলাকাটা অবস্থায় দেখতে পাই।
তিনি আরও বলেন, মুক্তাকে যখন পাওয়া যায় তখনও সে জীবিত ছিল। তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানকার চিকিৎসক মুক্তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঢাকা নেওয়ার পথে সকাল ৯টার দিকে তিনি মারা যান।
সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) আসাদুজ্জামান শাকিল কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনিপ্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন