ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল থাকায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। পাশাপাশি উপজেলার সব আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় দানা’র প্রভাবে এর মধ্যে টেকনাফে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এর ফলে টেকনাফ এবং সেন্টমার্টিন থেকে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া শাহপরীর দ্বীপের পাশাপাশি সেন্টমার্টিনকে গুরুত্ব দিয়ে খোঁজখবর রাখছি।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা সব আশ্রয়কেন্দ্রে প্রস্তুত রয়েছে। উপজেলার সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আজ সকাল ৬টায় (২৪ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯৫ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫৫ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৮৫ কিমি দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা মো. জোবায়ের বলেন, সম্প্রতি জোয়ারের পানি বৃদ্ধির পাশাপাশি ঢেউয়ের আঘাতে বেড়িবাঁধের ব্লকের ধসে পড়েছে। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দ্বীপের মানুষ আতঙ্কে আছেন। বিশেষ করে দ্বীপের বেড়িবাঁধের আশপাশে বসবাসকারীরা খুব বেশি ভয়ভীতির মধ্য রয়েছে।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা মোহাম্মদ আব্দুস সালাম বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাতাস শুরু হয়েছে। তবে এখনও খুব বেশি প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। আশা করি আমরা নিরাপদে আছি।
জানতে চাইলে সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান মো. মুজিবুর রহমান বলেন, দ্বীপের ঘূর্ণিঝড় দানা’র তেমন কোনো প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। তবু সাগরের বুকে বসতি হওয়ায় আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটের বোট মালিক সমিতির সভাপতি আবদুর রশিদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় দানা’র প্রভাবে এই রুটের সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন